এম ডি র সাথে দুজনে বসে খাওয়া শুরু করলো। রেস্টুরেন্ট ফাকা। গেটে এম ডি লোক দাঁড়ানো। কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছে না। এম ডি কাব্যের দিকে তাকিয়ে
- তোমার সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তুমি চাইলে আমার কাছে কিছু ডিমান্ড করতে পারো মানে তোমার স্বপ্ন বলতে কিছু থাকলে বলো। আমি পূরণ করে দিবো। ( এম ডি)কাব্য অবাক হয়ে
- আমার মতো সাধারণ ওয়েটারকে যেভাবে অফার করছেন তাতে মনে হচ্ছে আমি আপনার কাছের কেউ। ( কাব্য)
- এই কাব্য কি বলছিস তুই। ওনি যা বলছে তার উত্তর দে। ( লাবন্য)
এম ডি মুচকি হেসে
- সমস্যা নেই তোমার যদি কখনো আমাকে প্রয়োজন হয় তোমার স্বপ্ন পূরণের জন্য তাহলে আমাকে জানিয়ো। ( এম ডি)
- ধন্যবাদ স্যার। ( কাব্য)
- একটা কথা কি জানো। মানুষের রক্তের কেউ না হলে ও অনেক আপন হয়ে যায় কেউ কেউ। ( এম ডি)
লাবন্য অবাক হয়ে বললো
- মানে বুঝলাম না স্যার। ( লাবন্য)
- কিছু না। খাও তোমরা। আমি বেশি কথা বলে ফেলছি। ( এম ডি)
- না না স্যার কি বলছেন। ( লাবন্য)
সবাই চুপচাপ খেলো। এম ডি উঠতে যাবে তখন বললো
- তোমাদের অর্ডার কখনো ক্যানসেল হবে না। তোমাদের সততায় তোমরা এমন সুযোগ পেয়েছো। বিশেষ করে ওয়েটার বয় কাব্য র জন্য বেশি। ( এম ডি)
- ধন্যবাদ স্যার। ( কাব্য)
এম ডি বিল দিয়ে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরে, মুচকি হেসে, কাব্য আমি তোমার কাছে ঋণি। তুমি আমার জীবন বাচিয়েছিলে সেদিন রাতে। স্পষ্ট মনে আছে। তোমার সরলতা আমাকে বেশি মুগ্ধ করে দিয়েছে। আমি থাকতে এই শহরে তোমার কেউ ক্ষতি করতে পারবে না৷ এটা এম ডির প্রমিস।
এম ডি গেইটে দিয়ে বের হয়ে চলে গেলো। লাবন্য কাব্যর দিকে তাকিয়ে
- তুই কি আসলে বোকা। নাকি বোকা হওয়ার ভান ধরে থাকিস। ( লাবন্য)
- আমি আবার কি করলাম?। ( কাব্য)
- তোকে এতো অফার করছে আমার কাছে তো বিষয়টা ঠিক লাগছে না৷ তোর সাথে ওনার আগে কোনো সম্পর্ক ছিলো।( লাবন্য)
- না ৷ আমি তো এই শহরে নতুন৷ ওনাকে চিনবো কি করে? আর সম্পর্ক তো বাদ ই দিলাম। ( কাব্য)
লাবন্য কিছু বলতে যাবে তখন কাস্টমার ভেতরে প্রবেশ করলো। লাবন্য আর কিছু না বলে ক্যাশ কাউন্টারে যেয়ে বসলো। কাব্য কাস্টমারদের থেকে অর্ডার নিতে লাগলো।
এদিকে টেকো মুরাদ রুস্তুম সরদারের আসামি ডার্ক ডেবিল কে ধরার জন্য তদন্ত করতে লাগলো। উপর মহল থেকে চাপ আসছে ডার্ক ডেবিলকে ধরার জন্য। রুস্তম সরদার কে মেরে ফেলছে ওকে না ধরতে পারলে যে কোনো সময় যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে। টেকো মুরাদ পরের দিন সকাল ১০ টায় সব থানার এস আই কে মিটিংয়ের জন্য ডাকছে।
**
রাত ১০ টা
রেস্টুরেন্টের সব কাজ শেষ করে ফেললো। সবাই অনেল ক্লান্ত তাই তাড়াতাড়ি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিলো। কাব্য রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর লাবন্য কাব্যের পাশে দাঁড়িয়ে
- এখনো যাস নি। ( লাবন্য)
- না এই যাবো একটু পর। ( কাব্য)
- তুই থাকিস কোথায়? বাসা নিয়েছিস কই। ( লাবন্য)
- ঐ তো ঐ সামনে। ( কাব্য)
- ও আচ্ছা । একদিন তাহলে তোর বাসা টা যেয়ে দেখে আসতে হবে। ( লাবন্য)
কাব্য লাবন্যর কথা শুনে থ ম হয়ে
- ক ক ক কেন? আমার বাসায় তো কিছু নেই। ( কাব্য)
- তো কি হয়েছে। একদিন সবাই মিলে তোর বাসায় দাওয়াত খেতে যাবো। ( লাবন্য)
কাব্য মাথা চুলকাতে চুলকাতে
- আচ্ছা । আমি যায়। ( কাব্য)
কাব্য কথাটা বলে চলে গেলো। লাবন্য মনে মনে ভাবছে, কাব্য এভাবে এড়িয়ে গেলো কেন? বাসার কথা শুনতে থ ম খেয়ে গেলো। তাড়াহুড়ো করে চলে গেলো। লাবন্য ভাবতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর ফাইয়াজ এসে দাঁড়ালো লাবন্যের সামনে৷ লাবন্য তখন অন্য জগতে। ফাইয়াজ এসে দাড়াইছে লাবন্যের খেয়াল নেই। ফাইয়াজ লাবন্যকে ধরে
- কি হয়েছে তোমার? এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন? ( ফাইয়াজ)
লাবন্য কিছুটা ভয় পেলো। ভাবছে কে না কে ধরলো। ফাইয়াকজে দেখে
- ও ও তুমি৷ কখন আসছো ( লাবন্য)
- এভাবে দাঁড়িয়ে কি ভাবছো এতো গভীর ভাবে। কখন এসে দাঁড়িয়ে রইছি। ( ফাইয়াজ)
- আসলে কাব্যকে নিয়ে আমার সন্দেহ লাগছে। ( লাবন্য)
- মানে কি? ( ফাইয়াজ)
- ও গরীব কেউ না। এম ডি স্যারের সাথে ওর পূর্ব পরিচয় আছে৷ না হলে ও এম ডি স্যারের সাথে কোনো জড়তা ছাড়াই মুখের উপর সব বলছে। আমাদের মুখের উপর কথা তো বলে না। কিঢু বলতে গেলে জড়তা থাকবেই। ওকে যত দেখি ততই অবাক হয়ে যাচ্ছি। ( লাবন্য)
- কি করবা ভাবছো? ( ফাইয়াজ)
- ওকে ফলো করতে হবে। তাহলে বুঝতে পারবো। (লাবন্য)
- ঠিক আছে আজ তো আর করতে পারবে না। চলো আমরা ঘুরতে যায়। ( ফাইয়াজ)
লাবন্য খুশিতে ফাইয়াজের বাইকের পিছনে উঠে বসলো। ফাইয়াজ লাবন্যকে নিয়ে চলে গেলো।
**
এদিকে রাতে পুলিশ মেইন মেইন জায়গায় চেক পোস্ট বসিয়ে সব গাড়ি চেক করতে লাগলো। রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি ও রয়েছে। শহরের বুক দিয়ে টহল দিতে লাগলো।
রাত ১২ টা
ফাইয়াজ লাবন্য বাসার দিকে ফেরার জন্য রওনা দিলো। হঠাৎ করেই ফাইয়াজ বাইক থামিয়ে ফেললো। লাবন্য বললো
- কি হলো বাইক থামালে কেন? ( লাবন্য)
ফাইয়াজ হাত দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে
- ওটা কাব্য না৷ ( ফাইয়াজ)
লাবন্য তাকাতেই দেখলো কাব্য ওটা। আবছা ল্যাম্প পোস্টের আলোয় কাব্য বসে আছে সামনে একটা বই । লাবন্য চোখ ডলে আবার তাকায়। নাহ্ ভূল কিছু দেখছে না। ঠিকি দেখছে। ফাইয়াজ লাবন্যের মুখের দিকে তাকালো। লাবন্য ও ফাইয়াজের মুখের দিকে তাকালো। লাবন্য অবাক হয়ে বললো
- কাব্য ফুটপাতে বসে অল্প আলোয় বই পড়ছে। ( লাবন্য)
- তুমি শুধু শুধু সন্দেহ করতেছিলা। জীবন কতোটা ভয়ংকর দেখো। ও কই উঠছে কোনো খোঁজ নাও নি। ( ফাইয়াজ)
- না৷ আমি নিতে পারে নি । ওকে জিঙ্গেস করা হয়নি। ( লাবন্য)
- কাব্য কে দেখে মায়া লাগছে। গ্রাম থেকে এসে রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করে ফুটপাতে থাকছে দেখার কেউ নেই। ( ফাইয়াজ)
- আমি ওকে ভূল বুঝতে গেছিলাম। ও ওর সততা দিয়েই তো সবার ভালোবাসা আদায় করে নিচ্ছে। ( লাবন্য)
ফাইয়াজ আর লাবন্য ওখান থেকে চলে গেলো।
রাত ২ টা
ম্যানেজার ল্যাপটপে বসে কাজ করছিলো তখনি ম্যানেজারের ল্যাপটপে ডার্ক হ্যাকার নামটা বড় বড় অক্ষরে লেখা ল্যাপটপের স্কীনে ভাসছে। ম্যানেজার হা হয়ে গেলো। ম্যানেজার কী বোড চাপতে লাগলো কোনো কাজ হলো না। ম্যানেজারের বুঝতে বাকী নেই সব কিছু হাতের কন্ট্রোলের বাহিরে চলে গেছে৷ ম্যানেজারে সামনে স্কীনে ভেসে উঠলো ম্যানেজার আর একটা মেয়ে এক রুমে অন্তরঙ্গ অবস্থায়। আরেকটা ভিডিও তে ম্যানেজার অফিসের মেয়েদের ব্লাক মেইল করে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করছে। ম্যানেজারের গলা শুকিয়ে গেলো এটা দেখে। ম্যানেজারের সামনে সব এক এক করে তার অপকর্মের সব চিত্র ফুটে উঠছে। ম্যানেজার এসব ভিডিও চিত্র দেখে ঢোক গিলতে লাগলো আর ঘামতে শুরু করলো। এসির ভেতর থেকে ও ঘেমে যাচ্ছে। ম্যানেজার চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে পড়ে হা হয়ে গেলো। আদনানের সাথে মিলে যে ডিলটা করছিলো সেটা ও ডার্ক হ্যাকারের হাতে। হঠাৎ করেই ভূতুড়ে চেহারায় ডার্ক ডেবিল এসে
- যদি তোর এই অপকর্মের কথা যদি ফাস করতে না চাস। তাহলে আমার কথা মতো কাজ কর। ( ডার্ক হ্যাকার)
ম্যানেজার হ হ বলে রাজি হয়ে গেলো । ডার্ক ডেবিল ম্যানেজার কে বললো
- ল্যাপটপ হাতে নিয়ে ছাঁদে যা। ( ডার্ক হ্যাকার)
ম্যানেজার পুরো ঘাবড়ে গেলো। ম্যানেজার মোচড়ামুচড়ি করতে লাগলো। ডার্ক ডেবিল বললো
- যদি চাস তাহলে তোর এই অপকর্মের সব ভিডিও ফাস করে দিচ্ছি৷ ( ডার্ক ডেবিল)
ম্যানেজার উঠে দাড়িয়ে, না না এমনটা করো না। আমি তোমার সব কথা শুনবো। তুমি আমার সম্মান নষ্ট করো না।
- তাহলে ছাদে যাও। ( ডার্ক হ্যাকার)
ডার্ক হ্যাকারের কথা মতো ল্যাপটপ হাতে নিয়ে ম্যানেজার ছাদে গেলো। ডার্ক হ্যাকার ম্যানেজার কে ছাদের এক বারে কার্নিশে যেতে বললো। ম্যানেজার ছাদের কার্নিশে চলে গেলো। ডার্ক হ্যাকার ম্যানেজার কে নিচে তাকাতে বললো। ম্যানেজার নিচে তাকালো। নিচে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেলো। ডার্ক হ্যাকার বললো
- যদি তোর সম্মান চাস তাহলে এখান থেকে লাফ দে৷ আর না হলে তোর ভিডিও ছবি সব লাইভ করে দিবো তখন সম্মান হারাবি আবার জনগনের গনধোলাই খেয়ে মরবি। ( ডার্ক হ্যাকার)
ম্যানেজার ডার্ক হ্যাকারের কথা শুনে ঘাবড়ে গেলো। কি করবে এখন? মরতে তো একদিন হবে৷ জীবনে অনেক অন্যায় করেছি। সেটার হিসাব মিলানোর সময় এসেছে৷ ম্যানেজার ডার্ক হ্যাকারের কথা শুনতে শুনতে ম্যানেজার ছাঁদ থেকে টুস করে লাফ দিলো৷ ডার্ক হ্যাকার জোরে একটা হাসি দিলো।
কিছুক্ষণ পর
প্রসাশনের লোক মিডিয়ার লোক ঘটনা স্থলে চলে আসলো। খবর টা আদনানের কানে চলে গেলো৷ ম্যানেজারের কথা এম ডি শুনে গার্ড নিয়ে বের হলো ম্যানজারের বাসার উদ্দেশ্যে। আদনান ম্যানেজারের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাতে থাকা ফোনটা আচাড় মারলো সজোরে। আদনানের মাথা খারাপ হয়ে গেলো। এম ডি র ক্ষতি করা আজ সহজ হবে না। কি ভেবে রেখেছিলো কি হয়ে গেলো।
**
এম ডি ম্যানেজারের বাসায় পৌঁছে গেলো। গাড়ি থেকে নেমে ম্যানেজারের লাশের সামনে দাঁড়াতে মুরাদ এম ডি কে দেখে
- স্যার আপনি কি কিছু বলতে পারবেন? হঠাৎ করে আত্মহত্যা করার কারণ। ( মুরাদ)
- না। তবে ফ্যামিলি কোনো সমস্যা। ( এম ডি)
- না স্যার । আমরা জিঙ্গেস করেছি তেমন কিছুই হয়নি। হঠাৎ করে রুম থেকে ছাদে চলে গেলো। ফ্যামিলির লোকজন শব্দ পেয়ে এসে দেখে পড়ে আছে। ( মুরাদ)
- তাহলে আপনার তদন্ত করে দেখুন তাহলে আসল সত্যটা কি? ( এম ডি)
- জ্বি৷ এটা আমাদের কর্তব্য। এটার সুস্থ তদন্ত হবে৷ আসল আসামিকে সামনে নিয়ে আসবো। ( মুরাদ)
একজন সোর্স এসে মুরাদের কাছে ফোনটা এসে দিলো। মুরাদ ফোনের পাওয়ার বাটন চাপ দিতেই চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। ফোনের স্কীনে লেখা ডার্ক হ্যাকার। মুরাদ এম ডির সামনে থেকে চলে গেলো গাড়ির কাছে। এম ডি ম্যানেজারের ফ্যামিলির লোকদের শান্তনা দিয়ে কথা বলতে লাগলো
গাড়ির কাছে এসে ফোন পকেট থেকে বের করে সাইবার ক্রাইমের ইনচার্জ তানজিলা কে ফোন করলো। ফোন করা শেষে মুরাদ লাশের সামনে এসে বসে লাশটাকে দেখতে লাগলো।
মিডিয়ার লোক ঘিরে ধরে নিউজ করতে লাগলো, এম ডি কোম্পানির ম্যানেজার গভীর রাতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করছে। হঠাৎ এমন রহস্যময় মৃত্যু সবার কাছে অজানা। পরিবারের লোকজন কেউ কোনো কিছু বলতে পারছে না। সব কিছুই ঠিক ছিলো। হঠাৎ করে ফোনে কি করতে করতে ছাদে চলে গেলো।
বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে নিউজ করতে লাগলো।
এম ডি ম্যানেজারের পরিবারের সাথে কথা বলে বের হতেই মিডিয়ার লোক ঘিরে ধরে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে লাগলো৷ এম ডি মিডিয়ার লোকদের বললো
- ম্যানেজার কেন এমন করেছে আমি জানি না৷ তবে এখানে প্রশাসনের লোকজন আছে তারা তদন্ত করে আসল রহস্য বের করবে৷ তারাই বলতে পারবে । ম্যানেজারের অবর্তমানে আমি ম্যানেজারের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি। জরুরী একটি মিটিং আছে সেখানে যেতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। বাকী কথা পড়ে বলবো। ( এম ডি)
মিডিয়ার লোক এম ডি র প্রশংসা করতে লাগলো। এম ডি র গাড়িগুলো ম্যানেজারের বাড়ির সামনে থেকে চলে যেতেই তানজিলার গাড়ি এসে থামলো। তানজিলা গাড়ি থেকে নেমে মুরাদের সামনে যেয়ে দাঁড়ালো । মুরাদ তানজিলার হাতে ফোনটা দিলো। তানজিলা ফোনের পাওয়ার বাটন চাপ দিতে ডার্ক হ্যাকার লেখা সামনে ভাসছে। তানিজলা ফোনটা কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটি করে লক ই খুলতে পারলো না।। মুরাদ বললো
- কি বুঝতে পারছো এখানে। ( মুরাদ)
- স্যার এই হ্যাকার নতুন। মাথায় অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে এই পথে অগ্রসর হতে চায়। লাশটাকে মর্গে পাঠিয়ে দেন। ফোনটা নিয়ে যাচ্ছি পড়ে আপটেড জানাবো। ( তানজিলা)
- যতদ্রুত পারো এটার তথ্য আমাকে জানাও। কে এই ডার্ক হ্যাকার। ( মুরাদ)
লাশ নিয়ে গাড়িতে উঠালো। মিডিয়ার লোক তানজিলা আর মুরাদ কে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করতে লাগলো । মুরাদ মিডিয়ার লোকদের সামনে বলতে যাবে তখন তানজিলা মুরাদ কে থামিয়ে ম্যানেজারের ফোনের স্কিন অন করে দিলো। ডার্ক হ্যাকার নামটা দেখে সবাই হা হয়ে তাকিয়ে রইলো। তানজিলা বললো
- ফোনের কার্জকলাপ হ্যাকারের কন্ট্রোলে চলে গেছে। যার কারণে হ্যাকারের কথা মতো ম্যানেজার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করছে। ( তানিজলা)
টেকো মুরাদ তানজিলার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো। মুরাদ বললো
- ডার্ক হ্যাকার। ( মুরাদ)
- হ্যা। ( তানজিলা)
তানজিলা ফোনের স্কিনে তাকিয়ে আছে। ৫ মিনিট পর দেখলো ডার্ক হ্যাকার স্কিন থেকে সরে গেছে। তানজিলা ম্যানেজারের কার্যকলাপ দেখে অবাক হয়ে গেলো৷ পিছনে ফিরলো। তাকিয়ে দেখলো মুরাদ ফোনে কথা বলছে। লাশ গাড়িতো উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো। তানজিলা গাড়ির কাছে যেতে মিডিয়ার লোক তানজিলাকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করতে লাগলো। তানজিলা বললো
- ম্যানেজারের আত্মহত্যা র জন্য ডার্ক হ্যাকার দায়ী । ( তানজিলা)
ডার্ক হ্যাকার নামটা শুনতে অবাক হয়ে গেলো সবাই। নামটা সবাই ফাস্ট শুনলো। মিডিয়ার লোকজন বললো, কে এই ডার্ক হ্যাকার?
- এখনো সঠিক বলতে পারছি না৷ হ্যাকার তো অনেক আছে তবে এই হ্যাকারের পিছনের মানুষ টা মুখোশের আড়ালে থাকে। আমরা চেষ্টা করবো ডার্ক হ্যাকারকে খুঁজে বের করার। ( তানজিলা)
তানজিলার গাড়ি চলে গেলো। মুরাদ গাড়িতে উঠে চলে গেলো।।
**
সকাল ১০ টা
জরুরি ভিত্তিতে এম ডি সব স্টাফ দের ডাকলো । সবাই হল রুমে এসে জড়ো হলো। এম ডি রেগে আছে সবার উপর। কিন্তু কেন রেগে আছে এটা কেউ জানে না৷ একে তো ম্যানেজার আত্মহত্যা করেছে এটার জন্য কোম্পানি বন্ধ হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু এম ডি না করে দিয়েছে৷ সবার মনে একটাই প্রশ্ন হঠাৎ করে এম ডি কেন রেগে আছে। এতো জরুরি তলব৷ এম ডি ভেতর ঢুকতে সবাই দাঁড়িয়ে গেলো। এম ডি সবার সামনে দাঁড়িয়ে রেগে ঝাড়ি দিয়ে
- তোমাদের এতো বড়ো সাহস হলো কি করে ? আমার কোম্পানি তে এতো বড় ঘটনা ঘটে গেলো আমাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করো নি। কেন? আমার কোম্পানিতে আমি কাউকেই রাখবো না৷ সবাইকে ছাঁটাই করবো। ( এম ডি)
এম ডির কথা শুনে সবাই থ হয়ে গেলো। সবাই ভয় পেয়ে গেলো। আফরিন বললো
- স্যার আপনাকে না জানানোর আমরা সবাই সরি। ( আফরিন)
এম ডি ধমক দিয়ে
- চুপ থাকো। একটা কথা ও বলবে না। আমার টা খাবে আবার আমার সাথেই জালিয়াতি করবে। এতো বড়ো সাহস। ( এম ডি)
এম ডির কথা শুনে সবাই মাথা নিচু করে ফেললো। পিএইচ ও মাথা নিচু করে আছে। এম ডি পিএইচের সামনে দাঁড়িয়ে
- তুমি আমাকে এই ঘটনা জানাও নি কেন? ( এমডি)
- সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে তাই আর জানায়নি আপনাকে। সরি স্যার। ( পিএইচ)
- সমস্যা সমাধান হলো আর আমাকে জানানোর কোনো প্রয়োজন হয় নি। তাহলে আমার এই কোম্পানি রেখে কি লাভ? ( এম ডি)
- দুঃখিত স্যার। এমন ভূল আর হবে না। ( পিএইচ)
- ১ ঘন্টার ভেতর ম্যানেজারের যতো কার্যকলাপ আছে সব ফাইল আমার সামনে এনে রাখবে৷ আর যারা ম্যানেজারের সাথে যুক্ত হয়ে অপকর্ম করার চেষ্টা করেছো তাদের কেউ রেহাই পাবে না। ( এম ডি)
এম ডি র কথা শুনে সবাই হা হয়ে গেলো। এম ডি আনিকার দিকে তাকিয়ে
- তুমি আমার রুমে এসো ৩০ মিনিট পর৷ সব ফাইল নিয়ে। ( এম ডি)
- জ্বি স্যার। ( আনিকা)
এম ডি চলে গেলো। সবাই পিএইচ কে জিঙ্গেস করতে পিএইচ ম্যানেজার সব অপকর্মে র কথা বললো সবাই কে। ডার্ক হ্যাকার নামে একজন ম্যানেজার কে মেরে ফেলেছে। পিএইচ এর কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো। নিউজ পেপারের প্রথম পৃষ্টায় ডার্ক হ্যাকার এম ডি কোম্পানির ম্যানেজারের আত্মহত্যা করার জন্য দায়ী। বিস্তারিত কেউ পড়ে নি।
**
টেকো মুরাদ থানায় চেয়ারে বসে দুটো নিউজ পেপারস্ পাশাপাশি রেখে দেখছে। একটাই লেখা ডার্ক ডেবিল অন্যটাই ডার্ক হ্যাকার। দুটো নামের প্রথম নাম ডার্ক একই নাম। পরের টা ডেবিল আর হ্যাকার। মুরাদ বোঝার চেষ্টা করছে এই নামের মানুষ কি একজনই নাকি দুজন৷ দুজন দুটি নাম। না একজন দুটো নাম ব্যবহার করছে। মুরাদের মাথায় সবকিছু ঘুরপাক খেতে লাগলো। মুরাদ বড় স্যারকে ফোন দিয়ে মিটিং এর বললো। সেখানে অভিজ্ঞ সিনিয়র পুলিশদের ও থাকতে বললো। বড় স্যার মুরাদ কে রাতে মিটিং এর জন্য বলা হলো। মুরাদ বড় স্যারের সাথে কথা বলে ফোনটা কেটে দিয়ে পৃষ্ঠা দুটো ছিঁড়ে ডার্ক নামটা কাটলো তারপাশে ডেবিল, তারপাশে হ্যাকার। মুরাদ মনে মনে বলছে ডার্ক ডেবিল হ্যাকার এটা দুজন না একজন ব্যক্তি। মুরাদ তা খুঁজে বের করবেই।
**
আফরিন এম ডি র অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো। আফরিন ভেতরে ভয়তে ভয়তে ঢুকে ফাইল টা টেবিলের উপর রাখতে এম ডি আফরিন কে বসতে বললো। আফরিন বসলো। এমডি আফরিনকে বললো
- তোমাকে দেখে আমার অনেক অবাক লাগছে। ( এম ডি)
আফরিন ভয়তে ঘাবড়ে যেয়ে
- আ আ আমি কি কিছু করছি? ( আফরিন)
এম ডি আফরিনের ভয় পাওয়া দেখে
- এখন ভয় পাচ্ছো কেন? যখন ভয় পাওয়ার কথা ছিলো তখন কেন পাও নি? (এম ডি)
আফরিন অবাক হয়ে
- মানে...........
চলবে........
Ek villian
Part 10
Writer
Meherab Kabbo