আফরিন অবাক হয়ে মানে বলতেই এম ডি বললো
- কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পারছো না? ( এম ডি)- না স্যার। ( আফরিন)
- সবাই যখন টেনশনে ছিলো তখন তুমি কিভাবে রিলাক্সে বসে ছিলে। তখন একটু ও ভয় হয় নি। যদি সবকিছু হ্যাক হয়ে যেতো। ( এম ডি)
- আ আ আ আসলে স্যার আমাদের সিস্টেম সিকিউরিটি তো অনেক শক্ত যেটা কারো পক্ষেই সম্ভব না সিস্টেম সিকিউরিটি হ্যাক করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ( আফরিন)
এম ডি আফরিনের ঢোক গিলা দেখে পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে
- পানি খেয়ে আসতে পারো। ( এম ডি)
আফরিন গ্লাস হাতে নিয়ে পানি ঢক ঢক করে খেয়ে উঠে চলে গেলো। এম ডি হাতে ফোন নিয়ে ম্যানেজারে ভিডি ও দেখে মনে মনে ভাবতে লাগলো, কে এই ডার্ক হ্যাকার কিং?
**
৬০ ওয়ার্টের বাল্ব মাথার উপর জ্বলছে একটা টেবিল গোল করে সবাই ঘিরে আছে নজর নিউজ পেপারস্ এ লেখা ডার্ক হ্যাকার কিং লেখার উপর। আদনান নামটার উপর হাত দিয়ে
- এম ডি র সাথে এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না? যদি থাকে তাহলে ওকে আমাদের হাতে নিয়ে আসতে হবে। একবার আমার হাতের মুঠোয় আনতে পারি তাহলে খেল খতম। আমি হয়ে যাবো এই বিশ্বের কিং। ( আদনান)
আদনানের কথা শুনে সামনে থাকা একটা মেয়ে বললো, কখনো কি সম্ভব হবে বস।
মেয়েটার কথা শুনে আদনান বললো
- অসম্ভব কে সম্ভব করা আদনারের কাজে। ডার্ক হ্যাকার তোকে একবার হাতের মুঠোয় আনতে পারি তারপর দেখাবো আসল খেলা। ( আদনান)
আদননা কথাটা বলে জোরে হেসে উঠলো। সবাইকে ডার্ক হ্যাকারকে খোঁজার জন্য কাজ করতে বললো। সবাইকে কাজ করতে বলো আদনান থানার উদ্দেশ্য রওনা হলো।
দুপুর ১২ টা
কাব্য কাস্টমার দের খাবার দিয়ে এসে কাউন্টারের পাশে এসে দাড়ালো তখনি লাবন্যের ফোন বেজে উঠলো। লাবন্য ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখলো তামান্না কল দিয়েছে। লাবন্য কল রিসিভ করতেই তামান্না বললো
- ওয়েটার ঐ ফকিন্নি বয় টা কে বাসার সামনে পাঠিয়ে দাও। ওর কাজ আছে। ( তামান্না)
- ম্যাডামও তো এখানে নেই। ( লাবন্য)
- নেই মানে। আজকে আসেনি রেস্টুরেন্টে। যদি না আসে তাহলে ওকে জানো আর চাকরিতে রাখা জানো না হয়। ( তামান্না)
- না না ম্যাডাম ও তো এসেছে । আমি ওকে অন্য শাখায় পাঠিয়েছি। ওখানে আজ লোক কম। স্যার পাঠাতে বললো তাই পাঠালাম। ( লাবন্য)
- ঠিক আছে৷ বুঝতে পেরেছি৷ ( তামান্না)
- আপনি কি আজ আসবেন? ( লাবন্য)
- না। আজকে বাবার অফিসে যেতে হবে ডিল আছে একটা৷ ( তামান্না)
- ঠিক আছে। ( লাবন্য)
তামান্না কল টা কেটে দিলো লাবন্য ফোনটা পাশে রাখলো। কাব্য লাবন্যর মুখের দিকে তাকিয়ে
- আপনে আমার জন্য মিথ্যা কথা বলতে গেলেন কেন ? ( কাব্য)
- তোকে এতো ভাবতে হবে না। দেখ ওখানে কি লাগে। ( লাবন্য)
কাব্য আর কোনো কিছু না বলে চলে গেলো। লাবন্য নিজের কাজ করতে লাগলো।
**
দুপুর ২ টা
আদনান থানার ভেতর ঢুকতে ঢুকতে মুরাদ কে বললো
- স্যার হঠাৎ আমাকে তলব করলেন যে? ( আদনান)
- তোদের মতো শয়তান যেখানে আছে সেখানে মুরাদ তো থাকবেই। (মুরাদ)
আদনান অবাক হয়ে
- মানে স্যার। ( আদনান)
- তোকে কখন আসতে বলছি। এতো দেরি করলি কেন ? ( মুরাদ)
- একটা কাজে আটকে গেছিলাম৷ সেখান থেকে আসতে দেরি হয়েছে৷ কেন ডেকেছেন বলেন ? ( আদনান)
মুরাদ নিজের ফোনে একটা ভিডিও চালিয়ে দিয়ে আদনানের দিকে দিলো। আদনান ফোনটা হাতে নিয়ে ভিডিও দেখে গলা শুকিয়ে গেলো। ঢোক গিলতে লাগলো। তখন মুরাদ বললো
- তোকে কেন ডেকেছি বুঝতে পারছিস। চান্দু এতো দিন তোকে বাগে পায়নি । আজ পেয়েছি। ( মুরাদ)
আদনান টেকো মুরাদের দিকে তাকিয়ে
- স্যার কি করতে হবে আমাকে। ( আদনান)
টেকো মুরাদ টাক মাথায় হাত বুলিয়ে
- আমার মাথায় টাক কেনো পড়েছে এটা যদি তোকে বুঝাতে হয় তাহলে তো তোকে....( মুরাদ)
আদনান মুরাদকে থামিয়ে
- বুঝেছি স্যার। আর বলতে হবে না। ( আদনান)
টেকো মুরাদ হেসে দিয়ে
- মাথায় আর এমনি এমনি টাক পড়েনি বুঝছিস। কোনো রকম চালাকি করলে তো বুঝিস ( মুরাদ)
- সময় মতো পৌছে দিবো৷ আসি স্যার। ( আদনান)
আদনান উঠে চলে আসলো। মুরাদ শয়তানি একটা হাসি দিলো৷ আদনান বাহিরে এসে মনে মনে মুরাদ কে গালি দিতে দিতে বললো
- শা*লা টাকা ছাড়া কিছু চিনে না৷ মুখ মুছতে সময় নেয় না। শা*লা তোকে কোনোদিন বাগে পায় সেদিন তোর টাক মাথায় ঢোল বাজাবো। আমার থেকে টাকা নিবি৷ ( আদনান)
**
বিকাল ৪ টা
রেস্টুরেন্ট ফাঁকা। কাস্টমার নেই। কাউন্টারের পাশে কাব্য বসে ছিলো। তখন লাবন্য বললো
- তুই কি পড়াশোনা করিস? ( লাবন্য)
লাবন্যর হঠাৎ এমন প্রশ্ন করা দেখে আমতা আমতা করতে লাগলো। লাবন্য বুঝতে পেরে
- ভয় পাস না। আমি তোকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করবো না। সত্যি টা বল৷ ( লাবন্য)
কাব্য মাথা নিচু করে
- হ্যা করি। ( কাব্য)
- কোনো সুযোগ অসুবিধা হলে আমাকে জানাবি। গ্রামের কলেজে ভর্তি হয়েছিস৷ ( লাবন্য)
- না এখানকার প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ। ( কাব্য)
লাবন্য অবাক হয়ে
- তুই খরচ চালাস কি করে? তোর বেতনের সব টাকা তো আমি তোর বাসায় পাঠায় দি। তাহলে। ( লাবন্য)
- ওনারা আমার মাসিক বেতন ফ্রি করে দিয়েছে। করিম চাচার পরিচিত ওখানকার পরিচালক। আমাকে শুধু পরীক্ষাট ফিস দিতে বলেছে৷ বাকীটা তারা দেখবে৷ ( কাব্য)
- তাই বল। তা টাকা তো জোগাড় করিস নি। ফিস কিভাবে দিবি। ( লাবন্য)
- তখন এক ব্যবস্থা হয়ে যাবে নে। ( কাব্য)
- তোর টাকার প্রয়োজন হলে আমাকে বলিস। আর কলেজে কি যাওয়া লাগবে না। আপডেট কিভাবে জানবি৷ ( লাবন্য)
- পরীক্ষা র সময় পরীক্ষা দিলে হবে৷ আর আপনি এখানে যে কম্পিউটার চালাতে দেন এটা থেকে অনেক টা শিখে ফেলি৷ ( কাব্য)
লাবন্য কাব্যের কথায় অবাক হয়ে গেলো। কলেজে না গিয়ে এখানে থেকে কি দিয়ে কি করে কে জানে? রেস্টুরেন্টের ভেতর ৬ টা ছেলে ঢুকলো। চেয়ারে যেয়ে বসলো। লাবন্য কাব্যকে বললো
- দেখ তো ওদের কি লাগবে? ( লাবন্য)
কাব্য ছেলেগুলোর সামনে যেয়ে দাড়ালো। ছেলে গুলোকে দেখে অবাক হয়ে গেলো৷ সেদিন রাতের সেই ৪ টা ছেলে। একটা মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলেছিলো। কাব্যকে দেখে ওদের ভেতর একজন বললো, তুই ঐ সে*ক্সি গার্ল কে পাঠিয়ে দে। আমরা ওর কাছে অর্ডার করবো।
কাব্য ছেলেটার কথা শুনে রাগতে যেয়ে ও নরম সুরে বললো
- স্যার আমি এখান কার ওয়েটার আমার কাছে অর্ডার করেন। কাউন্টারে যে বসা ওনি ম্যানেজার। এটা ওনার কাজ না। ( কাব্য)
কাব্যের কথা শুনে পাশে থেকে আরেকটা ছেলে উঠে কাব্যের গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়ে, ছোট লোকের বাচ্চা তোরে যা বলেছি তাই কর। এতো কথা বলিস কেন? চিনিস আমাকে। মেরে পুঁতে রেখে দিবো।
পাশ থেকে আরেক জন কাব্যকে লাথি মেরে, যা সামনে থেকে।
কাব্য কিছুটা সরে গেলো। ছেলেগুলোর দিকে তাকিয়ে পড়লো৷ লাবন্য কাউন্টার থেকে উঠে এসে
- কি সমস্যা এখানে? ( লাবন্য)
লাবন্যকে সামনে আসতে দেখে একজন কু দৃষ্টিতে তাকিয়ে, উফ কি মা*ল রে মাইরি। মন চাচ্ছে এখনি এখানে।
ছেলেটাকে থামিয়ে দিয়ে আরকেজন বললো, কন্টোল লেস হোস না। রাত তো বাকী।
লাবন্য ওদের বাজে কথা শুনে
- কি ধরনের অসভ্যতামি হচ্ছি। এটা অসভ্যতাৃির জায়গা না। বের হয়ে যান এখান থেকে। ( লাবন্য) পাশ থেকে আরেকটা ছেলে বললো, উ*ফ বেবি রেগে যাচ্ছো কেন? আমরা তো তোমার জন্যই আসছি এখান থেকে।
ছেলেগুলোর কথা শুনে কাব্য রেগে
- কথাবার্তা ঠিক মতো বলেন। কাস্টমার আপনারা খাবার খেয়ে চলে যাব। বাজে কথা যদি আর কেউ বলেন তাহলে আপনাদের কে কিন্তু। ( কাব্য)
কাব্যর কথা শুনে ছেলে গুলো উঠে কাব্যকে মারতে শুরু করলো আর বললো, কিন্তু কি ? কি করবি তুই। চিনিস আমাদের।
কাব্যকে নিচে ফেলে মারতে মারতে একজন কোমড় থেকে পিস্তল বের করে কাব্যের কপালে ঠেকিয়ে, চাইলে তোরে এখানে মেরে ফেলতে পারি। তোর কোনো বাপ নেই তোকে বাঁচানোর৷ তোর মতো ছোট লোককে মেরে হাত ময়লা করতে চাই না। আর সুন্দরী তোমাকে রাতে দেখে নিবো।
ছেলে গুলো হুমকি দিয়ে চলে গেলো। লাবন্য কাব্যকে ধরে
- তুই কেন ওদের সাথে কথা বলতে গেলি। এটা তো নতুন না। অনেকে অনেক কিছুই তো বলে। সবকিছু শুনে হজম করতে হয়। ( লাবন্য)
কাব্য লাবন্যর মুখের দিকে তাকিয়ে পড়লো। ফাইজা এসেই
- কি হয়েছে লাবন্য? ওকে মারলো কেন? ও নিশ্চয়ই ওদের সাথে বেয়াদবি করছে। তার জন্য মেরেছে। ( ফাইজা)
লাবন্য বিরক্তি নিয়ে
- যেটা জানিস না তা বলিস না৷ ও গরীব বলে ওর উপর দোষ চাপাবি সবসময়। ( লাবন্য)
ফাইজা বলতে যাবে লাবন্য ফাইজাকে থামিয়ে দিয়ে
- তোর কাজ কর যেয়ে কোনো কথা না বলে যা। ( লাবন্য)
লাবন্য কাব্যকে উঠিয়ে কাউন্টারে নিয়ে বসালো। ফাইজা লাবন্যর বিরক্ত হওয়া দেখে চলে গেলো। লাবন্য কাব্যকে বোঝাতে লাগলো। যে যায় বলুক সব কিছু ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে। মাথা গরম করা যাবে না।
**
রাত ৮ টা
পুলিশের সুপারের কার্যালয়ে সবাই সময় মতো উপস্থিত হলো। তানজিলা ও এসেছে মিটিং এ। গোল টেবিলের চেয়ার ছোট বড় সব অফিসার রা বসে আছে৷ সবার সামনে দুটো করে পেপারস্ রাখা। পেপারস্ এর প্রথম পৃষ্ঠায় ডার্ক ডেবিল, আরেকটায় ডার্ক ডেবিল হ্যাকার কিং । সবাই দেখছে তখনি মুরাদ সবাইকে বললো
- তোমাদের কি মনে হয় এখানে ব্যক্তি একজন না দুজন৷ ( মুরাদ)
মুরাদের কথা শুনে এক এক জন এক জন একেক মন্তব্য করতে লাগলো৷ তানজিলা বললো
- এখানে আমরা দ্বিপাক্ষিক ধরে নি। একজন কে ধরতে পারলে আরেকজনকে সহজে ধরা সম্ভব হবে৷ আমরা দুজনই ভেবে নেওয়া ভালো। একজন অনলাইন জগতের আরেক জন বাস্তবিক জগতে। দুজনের দু ধরনের কাজ। ( তানজিলা)
তানজিলার কথা শুনে মুরাদ বললো
- তুমি বলতে চাচ্ছো একজন ধরা পড়লে সব জানা যাবে৷ ( মুরাদ)
- জ্বি স্যার। তবে কে এই ডেবিল হ্যাকার। নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। ( তানজিলা)
- এটার রহস্য উদঘাটন করতে গেলে আগে তাকে আমাদের ধরতে হবে। এর জন্য আমি দশ টিমের একটা দল গঠন করেছি। সবার সাহায্য পেলে আসামিকে আমরা ধরতে পারবো৷ ( মুরাদ)
- আসামিকে ধরতে আপনার যত সহযোগিতা লাগে আমরা সবাই করবো৷ আপনি আপনার প্ল্যান মতো কাজ করেন৷ ( তানজিলা)
তানজিলার কথায় সায় দিয়ে উঠলো। মুরাদ সবাইকে প্ল্যান সম্পর্কে বলতে লাগলো।
*
রাত ১১ টা
রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে যে যার মতো চলে গেলো। রেস্টুরেন্টের সামনে কাব্য দাঁড়ানো। লাবন্য কাব্যের পাশে দাড়িয়ে
- তোর বাসাটা জানি কই। ( লাবন্য)
কাব্য লাবন্যর দিকে তাকিয়ে
- ঐ তো সামনে। ( কাব্য)
- চল আজকে তোর বাসায় যাবো। ( লাবন্য)
কাব্য অবাক হয়ে
- ম ম মানে। আমার বাসায় যাবেন কেন? ( কাব্য)
- দেখতে যাবো। তুই কই থাকিস। তোর কোনো অসুবিধা হলে আমি তোর বাসা কিভাবে চিনবো৷ তাই ভাবছি আজ যাবো। ( লাবন্য)
- আজ না অন্যদিন যেয়েন। ( কাব্য)
- কেন রে? অন্যদিন বাসা ঠিক করে তারপর নিয়ে যাবি। পরে যদি তোকে না পায় তখন। ( লাবন্য)
কাব্য থ ম খেয়ে
- আ আ আ ( কাব্য)
লাবন্য কাব্যকে থামিয়ে দিয়ে
- তুই রাস্তার ফুটপাতে থাকিস। ল্যামপোস্টের আবছা আলোয় বই পড়িস। আমি সব কিছুই জানি দেখেছি৷ ( লাবন্য)
কাব্য মাথা নিচু করে
- আমাকে এই শহরের কেউ চিনে না। আমি ও চিনি না৷ আমার কাছে বাসা ভাড়া কে দিবে? ( কাব্য)
- আমারই ভূল হয়েছে তোর কাছে ১ম দিন না জিঙ্গেস করাটা। তোর থাকার ব্যবস্থা নেই আমাকে বলতি। আমি তোর একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত ছিলো। ( লাবন্য)
- না লাগবে না৷ এখানে ঠিক আছি৷ সমস্যা হয় না।( কাব্য)
- চুপ থাক। এসব অন্যরা না বুঝলে ও আমি বুঝি কতোটা কষ্টের। ( লাবন্য)
কাব্য মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। ফাইয়াজ এর মধ্যে চলে আসলো। লাবন্য বাইকে উঠে
- কাল দুপুরে আমার সাথে বাসা দেখতে যাবি৷ বাসা ভাড়া লাগবে না। আজকের মতো রাস্তায় কাটিয়ে নে। ( লাবন্য)
কাব্য লাবন্যর মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে পড়লো৷ ফাইয়াজ লাবন্যকে নিয়ে চলে গেলো। কাব্য রাস্তার ওপারে চলে গেলো। মিরানের পাশে বসলো।
১১ টা ৪৫
ফাইয়াজ লাবন্যকে গেইটের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। লাবন্য গেইট দিয়ে যখনি ভেতরে ঢুকতে যাবে তখনি পিছন থেকে লাবন্যর মুখ চেপে ধরে। লাবন্য ছটফট করতে লাগলো। কে এভাবে মুখ চেপে ধরেছে লাবন্য দেখতে পাচ্ছে না। আরেকজন পিছন থেকে লাবন্যর চোখ বেধে দিলো। লাবন্যকে টেনে গাড়ির ভেতর উঠালো। গাড়ি চলে গেলো। বাসার দারোয়ান এমন দৃশ্য দেখে লাবন্যর মা বাবাকে খবর দিলো। সবাই ছুটে আসলো। ফাইয়াজকে ফোন করে সবটা বললো। কারা জেনো লাবন্যকে তুলে নিয়ে গেছে। ফাইয়াজ খবর পেয়ে লাবন্যদের বাসায় চলে আসলো। ফাইয়াজ দারোয়ানকে জিঙ্গেস করলো কারা তুলে নিয়ে গেলো। তাদের কাউকে চিনো কি না। দারোয়ান বললো, কয়েকটা ছেলে মুখে মাক্স পড়া ছিলো। ম্যাডামকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেলো।
ফাইয়াজ লাবন্যর মা বাবাকে নিয়ে থানায় চলে আসলো।
রাত ১২ টা ৩০
থানায় এসে দেখলো অফিসার নেই। জিঙ্গেস করাতে বললো মিটিং থেকে এখনো ফিরে নি। ফাইয়াজ সবাইকে থাকার কথা বলে যেতে যাবে তখনি মুরাদ সামনে এসে দাঁড়ালো । মুরাদ ভেতরে লোক দেখে বললো
- কি সমস্যা হয়েছে? থানায় এতো ভিড় কেন? ( মুরাদ)
ফাইয়াজ বললো
- আমার বউকে বাসার সামনে থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। ( ফাইয়াজ)
- কিডনাপিং কেস। ( মুরাদ)
- স্যার আপনারা এখন পদক্ষেপ না নিলে লাবন্যকে পাবো ন। যা করার তাড়াতাড়ি করেম। ( ফাইয়াজ)
- মামা বাড়ির আবদার দেখি। এসেছো মামলা করে চলে যাও। সকালে খোঁজ নিয়ো। ( মুরাদ)
- আপনারা কোনো পদক্ষেপ নিবেন না৷ ( ফাইয়াজ)
- ২৪ ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো একশনে যেতে পারবো না৷ হতে ও পারে কিডন্যাপিকং এর নাটক সাজিয়ে মাস্তি করতে গেছে। ( মুরাদ)
মুরাদের কথায় ফাইয়াজ রেগে গেলো। লাবন্যর মা বাবা ফাইয়াজ কে উত্তেজিত হতে নিষেধ করে থানা থেকে এক রাশ হতাশা নিয়ে চলে গেলো। ফাইয়াজ তার বন্ধুদের নিয়ে লাবন্য কে খুঁজতে লাগলো। ফাইয়াজ টেনশনে পড়ে গেলো। কোথায় খুজবে এখন। এই শহরে যে একবার কিডন্যাপ হয় সে আর ফিরে আসে না৷ ফাইয়াজের মুখের দিকে তাকানোর মতো অবস্থা নেই।
রাত ২ টা
মুরাদের ফোনে কল আসলো। মুরাদ কল ধরতে ওপাশ থেকে একজন বললো, চালান কিন্তু শহরে ঢুকে গেছে। কোনো অসুবিধা জেনো না হয়।
মুরাদ হেসে দিয়ে ফোনের এ পাশ থেকে
- চিন্তা করবেন না স্যার। আপনার গাড়ি কেউ আটকাবে না। আমার শহরে আপনার গাড়ি নিরাপদ। ( মুরাদ)
ওপাশ থেকে, সকালে তোমার নাস্তা পৌঁছে যাবে । - ধন্যবাদ স্যার। আপনাদের জন্যই তো এই টেকো মুরাদ। ( মুরাদ)
কলটা কেটে দিলো। মুরাদ দিয়ে গাড়ির নাম্বার দিয়ে ওর কয়েকজন সোর্সদের বললো গাড়ি চেক না করতে। মুরাদ সবাইকে নিষেধ করে দিয়ে কলটা কেটে দিলো।
রাত ২ টা ৩০
লাইটিং রুমের ভেতর লাবন্যের চিৎকারে রুমটা ভারি হয়ে গেলো...........
চলবে..........
Ek villian
Part 11
Writer
Meherab Kabbo