আদি তারাকে ফোন দিলো। সোয়া ততক্ষণে শুয়ে পড়লো।
---হাই তারা,
---হ্যাঁ বলো? কি বলবে?
---একটা খুশির সংবাদ দিতে ফোন করলাম তোমায়।
---ওকে, ওকে খুশির সংবাদ আর দিতে হবে না। জানি কি খুশির সংবাদ দিবে তুমি। বলবে তারা আমি না আর কিছুদিন পর বাবা হতে চলছি। অফ কতো যে আনন্দ লাগছে আমার। সোয়া মা হতে চলছে বাড়িতে সবাই কতো খুশি ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কতো কি এইতো
জাস্ট অসহ্য।
---আরে আরে তা না তুমি একটু বেশি বুঝছো। ওই দু টাকার মেয়ে মা হোক না জাহান্নামে যাক তাতে আমার কি। আর ও মা হবে কিভাবে ওর কাছে গেসেছি নাকি আমি। ওইদিন রাতে তো ধাক্কা দিয়ে আমি আমার রুম থেকে তাকে বের করে দিয়েছি।
---ওহ রিয়েলি আই ডোন্ট বিলিভ। তোমার কথা আমার বিশ্বাস হয় না। ওই মেয়ের সাথে রাত কাটিয়েছো এখন বাবা হতে চলছো দেন আমাকে জানাচ্ছো। আর কি কোথা থেকে এই থার্ড ক্লাস মেয়ে একটা তোমার বাবা ধরে এনে বিয়ে করিয়ে দিছে তোমার সাথে আমার লাইফটা পুরো হেল করে দিছে ওই বুড়োটা।
----মাইন্ড ইউর লেঙ্গুয়েজ তারা। আমার বাবাকে বুড়ো বলার অধিকার এখনো তোমার হয়নি। ওই মেয়েকে তুমি যা তা বলতে পারো কিন্তু আমার বাবার সম্পর্কে তুমি কিছুই বলবে না। আমি তোমাকে এটা জানাতে ফোন করেছি যে ওই মেয়ে আমার কাছে ডিবোর্স চেয়েছে।
---সত্যি!
---হ্যাঁ সত্যি।
----তাহলে তুমি কালই ওকে ডিবোর্স দিয়ে দাও। আর আমরা বিয়ে করে নেই কি বলো।
---সরি, ছয় মাসের আগে ওকে ডিবোর্স দেওয়া যাবেনা। কোর্ট আমাদের ডিবোর্স দিবে না।
---ওকে নো প্রবলেম। আমি তোমার জন্য ওয়েট করবো বেবি। আই লাভ ইউ আই লাভ ইউ সো মাচ এন্ড সরি তোমার বাবাকে বুড়ো বলার জন্য।
---আমি ও সরি বেশি জোরে চেঁচিয়ে কথা বলে ফেললাম।
---আরে বাদ দেও তো। গুড নাইট ও হ্যাঁ শুনো কাল আমার সাথে দেখা করবে কিন্তু।
---ওকে গুড নাইট।
ফোন কেটে আদি গিয়ে শুয়ে পড়লো। সোয়া ফোনের ওপাশ থেকে তারার কথা না শুনলেও আদি কি বলেছে এপাশ থেকে সবই শুনেছে।
সোয়া মনে মনে বলতে লাগলো,,,
---আমি দু টাকার মেয়ে। আর আমার জন্য ওদের এতোই সমস্যা। যদি জানতাম আমার জন্য আপনাদের মাঝে এতো সমস্যা হবে তাহলে আমি কখনোই বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলতাম না। আর চিন্তা করতে হবে না আপনাদের পথের মাঝে আমি তো বেড়ার জাল হিসেবে আছি সরে যাবো আমি। হ্যাঁ সরে যাবো। আপনাদের দুজনকে মিলিয়ে দিয়ে আমি চলে যাবো অনেক দূর চাইলেও খুজে পাবেননা। প্রয়োজনে না ফেরার দেশে যাবো।
আর আমাকে খুজবেনই বা কেনো আমি তো আপনার জিবনের সবচেয়ে বড় কাটা। খুজতে হবে না আমায়। আজ বিয়ের তিনটা দিন হলো আর ৫মাস ২৭টা দিন আমি এই বাড়িতে আছি তারপর চলে যাবো আপনার জিবন থেকে। আর আমাকে চলে এমনিতে ও যেতে হবে।
সোয়ার গাল বেয়ে এক ফোটা চোখের পানি পড়ে গেল।
বড় লোকদের নমুনা একটা মানুষকে না চিনে না জেনে তার সম্পর্কে তাকে ছোটলোক বানিয়ে দিলো। তাকে মুখ দিয়ে যা আসে তা বলা শুরু করলো।
আদিতো সোয়াকে ঠিক মতো চিনেও না তাকে এখনি অত্যাচার করা শুরু করলো গায়ে হাত তোলা ও।
পরেরদিন সকালে সোয়া ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নিচে গেলো। যাওয়ার সময় চাদর, মাদুর, বালিশ যেটা আগে যেখানে ছিলো ঠিক মতো রাখা সেখানেই সুন্দর করে রেখে রেখেছে।
নিচে নেমে কিচেনে গেলো।নাস্তা বানাতে নিলে সাফিয়া বলে______
----বৌমনি, বৌমনি আপনি এইসব রাখুন আমরা করে নিচ্ছি।
---কেনো আমি করলে দোষ কোথায়?
---না বৌমনি রান্না -বান্না করা এইসব কাজের লোকদের কাজ আপনি এই বাড়ির বউ আপনার করা ঠিক না। আমাদের মতো চাকররাই এইসব কাজ করে।
---শুনো সুফিয়া দিদি। কাজ তো কাজই, এখানে তোয়াক্কা করার কি আছে। আমার ভালো লাগে কাজ করতে। আর কে বললো কাজ শুধু চাকররাই করে বাড়ির। তুমি কি চাকর নাকি তুমি মানুষ।
---হ্যাঁ আমি মানুষ।
---তো চাকরের পরিচয় কেনো। তুমি অনেক দিনই এই বাড়িতে কাজ করছো তাই বলে এ নয় যে তুমি এই বাড়ির চাকর। তুমি ও এই পরিবারের একজন সদস্য। কাজ করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। আর তোমার না স্বামী বাড়িতে অসুস্থ?
---হুম ওনি অসুস্থ।
---ডক্টর দেখিয়েছো?
---জ্বি বৌমনি হাসপাতালে নেওয়ার মতো ওতো টাকা নেই আমার কাছে। তাই নিতে পারিনি, আর মেয়ের কয়দিন পর পরীক্ষা স্কুলের ফ্রি দিতে হবে তাই যা টাকা জমানো ছিলো তা ওর জন্য রেখে দিয়েছি।
---কি বলো তুমি এইসব।
---বড় মার কাছে কাল এই মাসের বেতন টার কথা বলেছিলাম দিতে ওনি বললো আজ দিবে যদি দেয় তো ওনাকে হাসপাতালে নিবো।
---টাকার অভাবে মানুষ মরবে নাকি আজব তো মা জানেনা তোমার স্বামী অসুস্থ।
---হ্যাঁ জানে।
---আচ্ছা কথা বাড়িয়ে লাভ নেই তুমি এখানে দাড়াও আমি আসছি।
---কোথায় যাচ্ছেন বৌমনি?
---পরে বলবো তুমি দাড়াও এখানে।
---ঠিক আছে।
সোয়া উপরে গেলো। তার কিছুক্ষণ পর আবার কিচেনে আসলো।
---এই নেও!
---বৌমনি তুমি এতো টাকা আমায় দিচ্ছেন কেনো?
---শুনো কোনো কথা বলবা না তোমার স্বামীকে হসপিটালে নিবে ভালো একজন ডক্টর দেখাবা। টাকার অভাবে মেয়েটাকেও তো টিয়োটরের কাছে পড়াতে পারোনা একজন পাইবেট টিয়োটর রাখবে কেমন। পরীক্ষার সব খরচ আমি দিবো ভালো করে বলো তোমার মেয়েকে পড়াশোনা করতে।
---বৌমনি।
---আরে আরে পাগলী কাঁদছো কেনো?
---বৌমনি তুমি এতো ভালো কেনো।
তোমার মতো মেয়ে আমি আজ প্রথম দেখলাম যে আমার বিপদে সাহায্যে করলো। আমি তোমার কাছে ঋনি বৌমনি।
---আর কেঁদো না তো এখন যাও বাড়িতে।
---সকালের নাস্তাটা আমি বানিয়ে দিয়ে যাই।
---আমি বানিয়ে নিবো যাও তুমি।
সোয়া সুফিয়ার চোখের পানি মুছে দিলো। সুফিয়া তো কতো খুশি এই প্রথম কেউ তার চোখের পানি মুছে দিলো।তার বিপদে সাহায্যে করলো।সুফিয়া চলে গেলো, সোয়া নিজের হাতে আজ বাড়ির সবার জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করলো।
আদির মা ঘুম থেকে উঠে এসে দেখে টেবিলে খাওয়ার সাজানো।এইসব দেখে সুফিয়াকে ডাকতে থাকে,,
---সুফিয়া, সুফিয়া কোথায় তুই?
সোয়া এসে বললো,,,
---মা আসলে!
---কি?
---দিদির স্বামী খুব অসুস্থ ডক্টরের কাছে পর্যন্ত নেয়নি। আজ সকালের নাস্তাটা আমিই বানিয়ে নিয়েছি আর দিদিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি স্বামীকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
---ও টাকা পেলো কোথায় আর আজ আমি ওকে টাকা দিবো বলেছিলাম।
---আমার কাছে ছিলো আমি দিয়ে দিয়েছি এখন আপাতত আর লাগবে না। দিদি যতোদিন আসবে না কাজে আমি ওর হয়ে কাজ করে দিবো না হয়।
---আমার মা টা তো দেখি খুব কাজের আচ্ছা সুফিয়া যতোদিন না আসবে ততোদিনে না হয় আমরা দুজনে মিলে কাজ করবো আর ঘর মোছার জন্য তো রহিমা আছেই ওটা ও করে নিবে। তুমি কেনো একা কাজ করবে করলে আমরা দুজনেই একসাথে করবো। আমার লক্ষী বউমা।
সোয়ার কপালে চুমু খেয়ে বললো আদির মা। সোয়া নিজের জিবনে এতো ভালো একজন শাশুড়ি পাবে ভালোবাসা পাবে এই বাড়ির সবার কাছে কখনো ভাবতেই পারেনি। সোয়া জিবনে অনেক লাক্কি এতো ভালো শ্বশুর শাশুড়ি আর ননদীটা পেয়ে। সবার কাছেই অনেক ভালোবাসা পেলো তাদের এই কয়দিনে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। তাদের ভালোবাসার একজন হয়ে উঠলো শুধু আদি ছাড়া। যেদিন সোয়া এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে সেদিন কিভাবে যাবে সোয়া এই ভালোবাসার মানুষগুলোকে রেখে। পারবে একদিন আদির মনে যায়গা করে নিতে কিন্তু সেদিন হয়তো সোয়া থাকবে না আদির জিবনে।
.
আদির মা সোয়ার সাথে কথা বলছিলো তখন আদি অফিসের জন্য রেডি হয়ে নিচে নেমে আসলো।মা আদিকে বললো____
---এই তুই কোথায় যাচ্ছিস?
---মা অফিসে যাচ্ছি আর কোথায়।
---কয়টা দিন অফে যেতে পারিসনা। নতুন বিয়ে হলো বউকে নিয়ে একটু এদিকে ওদিকে ঘুরবি ফিরবি বাড়িটাও তো সোয়া এখনো পুরো দেখেনি। ওকে নিয়ে বের হতে পারিস না একটু?
---তোমার যখন ঘুরার এতোই ইচ্ছে তো তুমি যাও না আমাকে বলছো কেনো। শুনো ওকে বিয়ে করেছি বলে যে বৌয়ের সব অধিকার ওকে দিবো তা না। বাবার কথায় বিয়ে করেছি আমি। তোমরা জানো আমি তারাকে ভালোবাসি তাও কোথাকার কোন মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করছো। ওই মেয়ে পালিয়েছে তো ওই বাড়ির চাকরকে আমার গলায় জুলিয়েছে।
---আদি এইসব কোনো কথা?
---হ্যাঁ কথা কেনো গায়ে লাগে তোমার ওই মেয়েকে চাকর বললে তাও আমি একশবার বলবো ওই মেয়েকে চাকর।আমার সামনে ওই মেয়েকে নিয়ে কোনো কথা বলবে না। আই জাস্ট হেট সি দু চোখেও ওকে দেখতে পারিনা আমি। ওর সাথে সংসার করার ইচ্ছে নাই আমার। ডিবোর্স, ডিবোর্স দিবো!
---ডিবোর্স !আর আমার বৌমাকে কি সব আজে বাজে কথা বলছিস! বউয়ের অধিকার না দিস তো কি হইছে কোনো দিন অসম্মান করে কথা বলবি না তুই হয়তো ওকে বউ মানিস না কিন্তু আমি ওকে আমার মেয়ের মতো ভাবি।
---কোন কালা যাদু করেছে তোমার বউমা না সরি মেয়ে। যে সবাইকে বস করে নিয়েছে।
শুনো আমি তারাকেই বিয়ে করবো ওই মেয়েকে ডিবোর্স দিয়ে এটাই আমার শেষ কথা। আর যদি ত্যাজ্য ছেলে হই হবো সমস্যা কি। তাও আমি আমার ভালোবাসাকে হারাবো না।
দেত, এইসব চাকর বাকরের কথা উঠিয়ে আমার মুডটাই নষ্ট করে দিয়েছে। করবো না আর ব্রেকফাস্ট!
আদি চলে গেল অফিসে। সোয়া মার কাছে এসে বললো,,,
---থাক মা বাদ দেন এইসব। শুধু শুধু কেনো এতো কথা বলতে গেলেন।
---সত্যিই কি ডিবোর্স হয়ে যাবে! আমি আমার মেয়েকে কি আর পাবোনা আমার কাছে।
---ডিবোর্স হলে কি হয়েছে, তোমাদের ভালোবাসি না আমি। আমি সবসময় তোমাদের সাথে থাকবো।
আদির বাবা উপর থেকে নেমে এসে বললো,,
---এই কি হয়েছে এই সাত সকাল কিসের এতো চিল্লাচিল্লি হচ্ছে?
---কিছুনা বাবা, এমনি আমরা একটু জোরে হাসাহাসি করে কথা বলছিলাম।
আদির মা বললো,,,,
---এতো মিথ্যা বলা শিখেছে আমার মেয়েটা এই চারটা দিনে আমায় যে সবসময় মিথ্যা বলে আসছে! কেনো বলেছিস মিথ্যা কথা আমায় কি ভেবেছিস তুই আমি কিছুই বুঝতে পারবো না।
---কি হয়েছে আদির মা তুমি কাঁদছো কেনো?
---মা প্লিজ আপনি কাঁদবেন না, আপনি কাঁদলে আমার খুব কষ্ট হবে। আপনার ছেলেও খুব কষ্ট পাবে দয়া করে কাঁদবেন না।
মায়ের চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো সোয়া।বাবা বললো___
---আচ্ছা, কি হয়েছে কেনো কাঁদছো তুমি আর ও কি মিথ্যা বলেছে বলবে কি আমায় কেউ একটু!
আদির মা বললো,,,
---তোমার ছেলে হ্যাঁ তোমার ছেলে আদি চৌধুরী! আমার এই মেয়েটাকে এই চারটা দিনে কতো কষ্ট দিয়েছে জানো। আমার মেয়েটা চুপচাপ সব সহ্য করে যাচ্ছে। বাসর রাতের দিন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে আর তুই মাথায় ব্যথা পেয়েছিস খুব নারে। কিন্তু আমায় এসে বলেছে কি জানো মাথায় দেওয়ালের সাথে তার সকালে আসার সময় হালকা একটু চোট লাগে!
আদির মা সোয়ার কেটে যাওয়া হাতটা ধরে বললো,,,
---দেখেছো, দেখেছো তুমি, তোমার ওই ডাকাত ছেলে আমার মেয়ের হাতটা অবধি কেটে দিয়েছে তাও ধাক্কা দিয়ে ওইদিন ভাঙ্গা মগের উপর।
---বৌমা এইসব কি সত্যি! আদি তোমাকে এইসব করেছে?
---আরে মা আপনি শুধু শুধু বেশি করছেন। এইসব ওনি কিছুই করেনি।
---এই চুপ একদম মিথ্যা বলবি না আমার সামনে। আমি জানিনা তুই কি মনে করেছিস? ভাঙা টুকরো গুলো যখন দিতে এসেছিস। তখন হাত কেনো কাপড়ের নিচে লুকিয়েছিলি তুই? এখান থেকে যাওয়ার পর রক্তের ফোটা গুলো তো রয়ে গেছে না। আমি দেখে ঠিকই বুঝেছি ওইদিন।
আদির বাবা বললো,,
---এতো নিষ্ঠুর হলো কবে আদি, কই কোনোদিন তো ও বাড়িতে কারো সাথে এইসব ব্যবহার করেনি।
---হ্যাঁ করেনি! আজ করেছে আমার সাথে আমার মেয়েকে ডিবোর্স দিবে বলেছে। ছিঃ আমার ওকে নিজের ছেলে বলতে ঘৃণা হয় যে অন্যকে অনিষ্ঠা করে।আজ থেকে ওর সাথে আমি আর কথা বলবো না অফ করে দিবো কথা বলা।
কাদঁতে কাদঁতে মা উপরে চলে গেলো। আদির বাবা সোয়ার মাথায় হাত রেখে বললো,,,,
---তুমি কষ্ট পেয়েছো অনেক মা। আমি নিজেও কোনোদিন তোমাকে দেখিনি ওখানেই তোমাকে দেখেছিলাম। তোমার আচার ব্যবহার দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি সেখানে তাই বিয়েটা করতে বলেছিলাম। তুমিও আমাদের কথায় রাজি হয়ে গেছো। আদি এতোটা খারাপ না জানো হয়তো ওর রাগটা বেশি ডিবোর্স ও তোমাকে দিবেনা মা চিন্তা করোনা। আমার ছেলে কেমন আমি জানি কয়েকটা দিন ও তোমাকে দেখুক থাকুক তোমার সাথে দেখবে ও তোমায় একদিন ভালবেসে ফেলেছে।
---জিবনে বেঁচে থাকতে হলে অনেক বাদাই সামনে আসে। কিন্তু আমাদের তো থেকে থাকলে হবে না, বেচেঁ থাকার জন্য আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বার বার আমি চেষ্টা করবো ওনার মনে যায়গা করার করে নিতেও একদিন ঠিকই পারবো। শুধু সময় আর ধৈর্যের অপেক্ষা।
আদির বাবা সোয়াকে বলতে লাগলো,,,,
---পিছনে যা হয়েছে তা পিছনেই থাক তুমি আর পিছনে ফিরে মন খারাপ করে বসে থেকোনা। ভবিষ্যতে তোমার যোগ্যতার অস্তিত্বের সাথে লড়াই করে আদির মাঝে বেচেঁ থাকতে হবে তোমায়।তোমার ভবিষ্যতে ভালোবাসার গভীরতায় টিকে গুন নির্ধারণ করবে।
---জ্বি, বাবা।
.