আদিরা রাইজানকে বললো,,,,
---ভাইয়া, তুমি কিন্তু আমার ভাবির দিকে চোখ দিচ্ছো। মতলব কি হ্যাঁ শুনি?
---মতলব তো অনেক কিছুই তোকে বলবো না কিরে।
---আমাকে বলবে না তো কাকে বলবে, ভাবি আমার আর বলবেও আমাকে ঠিক আছে।
---তোকে যে বলবো তোর সেই বয়স হয়েছে এখনো।
---আরে কি যে বলেন ভাইয়া, সোয়া একটা পাকনা বুড়ি।
---ভাবি কি আমি বুড়ি।
গাল ফুলিয়ে আদিরা সোয়াকে বললো।
সোয়া হাসতে হাসতে বললো,,,,
---হ্যাঁ তুমি পাকনা বুড়ি। সবকিছুই জানো দেখি তুমি?
---কি জানি একটু বলো তো!
---সবার সামনে বলবো তুমি কি জানো! আর বললে কিন্তু ফাস হয়ে যাবে।
আদিরা সোয়ার মুখ চেপে ধরে বললো,,,,
---তাহলে আর বলতে হবে না ভাবি। হ্যাঁ আমি বুড়ি যাও।
---এই শুনেন ভাবি একদম লুকাবেন না ও কি জানে একটু বলেন না।
---তেমন কিছুনা! বিয়ের পর স্বামীকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য আমার থেকে শিখে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
---ওমা, আদিরা তাই নাকি রে।
---হ্যাঁ তাতে তোমার কোনো আপত্তি আছে ভাইয়া। শুনো তুমিও প্রস্তুতি নেও আমার ফিউচার ভাবির জন্য।
---তুই বলে দে কি কি নিবো!
আদিরা আদিকে উদ্দেশ্য করে বললো।যদিও কথাটা রাইজানের দিকে ফিরে বলছে____
---বউকে খুব ভালোবাসতে হবে, তাকে কখনো দুঃখ -কষ্টের ধারে কাছেও যেতে দিবে না। সবার থেকে সবচেয়ে সুখি একজন করে তাকে রাখবে। স্ত্রীর সকল অধিকার তাকে দিবে, তাকে কোনোদিন ছোট করে কথা বলবে না এইসব কিছুই আর কি।
---ও নিয়ে তুই টেনশন করিস না। তোর ভাবিটা যদি আমাকে দিয়ে দিস তাহলে এই সবকিছুই আমি করবো।
---কিহ!
---আমি কিন্তু একটা বড়সর প্লেন করছি এবার জানিস তো!ভাবছি তোর এই সুন্দরী সোয়া ভাবিকে নিয়ে আমি পালাবো। আর বিয়ে করে আমার ঘরের বউ করে নিবো তাতে তোর কোনো আপত্তি নেই তো।
---কতো বড় চোর আমার ভাবিকে কিডন্যাফ করতে এসেছে।
আদিরা, সোয়া, রাইজান যখন কথা বলছিলো তখন আদি তার বাবার সাথে অফিসের কিছু জরুরি ফাইল নিয়ে কথা বলছিলো।
রাইজান আদিকে বললো,,,,
---আদি তোর কোনো আপত্তি আছে?
---কিসের আপত্তি?
---এই মানে তোর সুন্দরী বউকে নিয়ে আমি পালাবো। তাও তোদের বলেই পালাবো তাকে নিয়ে।
---রাইজান! আমি অফিসের কিছু ইমপর্টেন্ট ফাইল নিয়ে কথা বলছি বাবার সাথে তার মাঝে তুই!
এক প্রকার রাগ দেখিয়ে বললো আদি রাইজানকে কথাটা। রাইজান বললো_____
---ওহ! সরি, আমার মনে ছিলো না।
--রাইজান ভাইয়া আমাদের মাঝে অন্য কাউকে না ডুকানোই ভালো।
---ওকে!
সোয়া তো আদিরার কথার মানে বুঝলোই তাই আর কিছুই বললো না।ওরা তিনজন কথা বলছে, তার মাঝে আদি রহিমাকে বললো,,,
---আন্টি।
---হ্যাঁ বলো?
---আজ আমার সব ফ্রেন্ডসরা আসবে। সো, তাদের জন্য দুপুরের লান্সটা রেডি করে রেখো।
---ঠিক আছে।
বলেই আদি উপরে চলে গেলো।
রাইজান অবাক হয়ে আদির চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।ওরা সবাই এখানে বসে আড্ডা দিচ্ছে আর আদি সে কোনো পাত্তাই দিলোনা। হঠাৎ আদি এতো চেন্জ কি করে হলো, যে আদি আগে কাজ ছেড়ে সব বন্ধুর সাথে আড্ডায় মেতে উঠতো। আজ সেই আদি এই ফ্রি দিনেও কাজ নিয়ে বিজি হয়ে গেলো। কতো কি রাইজানের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
ওরা কথা বলতে বলতে আবার কলিং বেল বাজে, সোয়া উঠে গিয়ে দরজাটা খুললো।
দরজা খুলতেই দেখলো তিনটা ছেলে এসে উপস্থিত আর দুটো মেয়ে। সোয়া এখানের একটা মেয়েকে চিনলেও আর অন্য কাউকেই চিনতে পারছে না।সোয়া বললো,,,
---আপনারা কে ঠিক চিনলাম না তো?
তখন একজন ছেলে বললো,,,,
---আমরা সবাই আদির বন্ধু। এন্ড সি..........
তখনই রাইজান গিয়ে স্পর্শকে জরিয়ে ধরলো।
---কিরে কি খবর তোর?
---এই তো আছি মোটামুটি ভালো। তোর কি খবর?
---হুম, ভালো।আয় ভেতরে আয়!
সবাই ভেতরে গেল, সোয়া যে মেয়েটিকে চিনে সে হয়তো আর কেউ নয় সেই আদির ভালবাসা "তারাই "।তারা বললো_____
---সামনে থেকে সরে যান!
সোয়া বললো,,,
---জ্বি!
তারা কেমন ভাবে সোয়ার দিকে তাকিয়ে ভেতরে ডুকলো।
.
!!!
সোয়া এসে আদিরার পাশে দাড়ালো,তখন আদিরা সোয়াকে আস্তে করে বললো।
---আসছে ভাবি, গল্পের ভিলেন ড্রামাহিরোইন হুহ।
---বাদ দেও তো আদিরা ওইদিনের মতো আজ কোনো ঝামেলা করোনা।
---ওকে তুমি বলছো বলে আপাতত কিছুই বলছি না। যদি আমার মাথা খারাপ করার বা তোমায় নিয়ে কোনো কথা বলে তাহলে কিন্তু আমি ছেড়ে কথা বলবো না।
---ওহ, তোমায় আর বুঝিয়ে আমার লাভ হলোনা।
রাইজান সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বললো,,,,
---হ্যালো গাইজ! আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড আদি হার ওয়াইফ মিসেস সোয়া চৌধুরী।
রাহুল বললো,
---হাই ভাবি,
---হ্যালো।
সোয়া স্পর্শ, রাহুল এবং অন্তর সবার সাথে হাই, হ্যালো করলো। ইলফা ওর সাথে ও করলো, তারার সাথে মিট করতে গেলে আদিরা বাদা দেয়।
স্পর্শ বললো,,,,
---আদির বিয়েটা হুট করেই যে হয়ে গেলো আমরা ছিলাম না।আর যদিও বা আদির বিয়েতে অমত ছিলো সেও বিয়েতে আসতে বারন করলো আমাদের।
আদিরা স্পর্শের কথার প্রতিউত্তরে বললো_____
---হয়েছে থাক ভাইয়া এখন এইসব কথা না বলাই বেটার।
তারা বললো,,
---আচ্ছা, আদি কোথায় রাইজান?
---উপরেই আছে, গিয়ে দেখো।
---ওকে!
তারা আদির কাছে চলে গেলো।
ইলফা, স্পর্শ, রাইজান, আদিরা, সোয়া এই কয়জন নিচে আড্ডা দিচ্ছিলো। রাহুল, অন্তর ওরা আদির কাছে চলে যায়।আজ মা বাসায় যদি থাকতো তাহলে তারাকে দেখলে নিশ্চয়ই কোনো একটা বেজাল করতো। রাইজান স্পর্শকে বললো,
---আদি কতো লাক্কি দেখেছিস! কতো সুন্দর, মিষ্টি, মায়াবতি একটা বউ পেয়েছে।
---সত্যি রে মানুষ এতো সুন্দর হয়।
---আমার কপালটাই খারাপ সালা! আদির বিয়ের আগে যে এ কোথায় ছিলো যদি একটা বার খোঁজ পেতাম তাহলে আজ আর বললাম না বুকের বা পাশটাতে ইয়ে করে।
রাইজান বুকের বা পাশে হাত রেখে বললো কথাটা।স্পর্শ বললো,,
---আয় দোস্ত দুজন কোলাকুলি করি।
---আয় করি।
কোলাকুলি করার পর,রাইজান বললো,,
---আচ্ছা কেন করলি কোলাকুলি?সেটা তো বললি না!
---দুঃখ, দুঃখের জন্য করলাম। আজ সবারই বউ গার্লফ্রেন্ড আছে, শুধু তোর আর আমারই নাই। আমরা দুটো হতভাগা গার্লফ্রেন্ড নেই।
---হ্যাঁ ঠিক বলেছিস। আমার গার্লফ্রেন্ড নেই টেনশন নেই কেন জানিস, কাল একটা ক্রাশ খেলাম ওই সুন্দরীর উপর।
---আদি শুনলে না তোর চোখ তুলে ফেলবে।
---আমি ওর ওই "শাকচুন্নী "গার্লফ্রেন্ডের দিকে তাকাইনি। যে চোখ উপরে ফেলবে আমার হুহ।
---তুই ওকে শাকচুন্নী বললি কেন?
---দূর ওটাকে আমি দু চোখে দেখতে পারিনা। কি স্টাইল দেখাই ওই লারকু গার্ল স্টাইল করলে মানায় না যতদূর, দেখায় স্টাইল ততদূর।
---রাইট! আমিও না জানিসতো ওকে দেখতেই পারিনা আদি যে কি দেখে ওকে পছন্দ করেছে ওই শুধুমাএ জানে।
---শেওড়া গাছের পেত্নী ওতো ফ্যাশন দেখায় না স্টাইল করে কথা বলেনা ও যেমন করে। আস্ত একটা শাকচুন্নী ও।
---থাক বাদ দে, কেউ শুনলে গিয়ে ওদের কানে পৌছেঁ দিয়ে আসবে। তারা যেই মাপের মেয়ে কেউ তার নামে কিছু বলতে পারেনা।বড়লোক বাবার মেয়ে তো বুঝিসই।
রাইজান আর স্পর্শের কাছে কেউ ছিলোনা বলে তাদের কথা কেউ শুনতে পায়নি। সোয়া, আদিরা, ইলফা তিনজন কিচেনে আড্ডা দিচ্ছিলো আর সোয়া তাদের জন্য হালকা কিছু নাস্তা করছিলো।
নাস্তা নিয়ে কিচেন থেকে তিনজন আসলো, সোয়া ইলফার হাতে ট্রেটা দিয়ে বললো,,
---আপনি একটু কষ্ট করে উপরে নিয়ে যাবেন ওনাদের জন্য নাস্তাগুলো।
---ওকে দাও! আর তুমিও আমাদের সাথে চলো উপরে।
---না না আপনারা যান, অনেকদিন পর সবাই একসাথে হয়েছেন তার মাঝে আমি না থাকাই ভালো।
---সোয়া?
---জ্বি বলুন?
---বোন তুমি কি মনে করেছো, আমি কিছুই বুঝতে পারিনা। আমি ও একটা মেয়ে অন্য একটা মেয়েকে দেখলে তার মুখটা দেখলে আমি বুঝতে পারি তার মনের ভেতরটা। আমি তোমার বোনের মতো সেই ভেবে আমার কাছে কিছু লুকাতে এসোনা!
---আমি কি লুকাবো?
---আমি জানি আদি তোমার কাছে ডিবোর্স চাইছে! হ্যাঁ এটাও জানি এই কয়দিনে আদি তোমাকে থাক বাদ দেই ওইসব। আদির করা নিষেধ না তুমি যেনো ওর রুমে না যাও।
---আপনি বুঝলেন কিভাবে?
---এমনি আমি আদিকে চিনি ওর সাথে দশটি বছর আমার বন্ধুত্ব। ওর রাগ সম্পর্কেও জানি, ওকে কেউ উসকালে ও খারাপ কোনো কাজ করতে বাদ্য হয় না হলে ও কখনোই খারাপ কাজ করেনা। ওর জেদ তোমাকে কষ্ট দিয়েছে ও তারাকে ভালোবাসে হ্যাঁ তারা আমার ও আবার ফ্রেন্ডস। কিন্তু আমি ওর কোনো পক্ষ নই ওর পক্ষ হয়ে আমি কথা বলবো না। আদি জিবনে অনেক বড় ভুল করেছে ওই তারাকে ভালোবেসে একদিন ও খুব পস্তাবে এর জন্য।
---মা......মানে কিসের জন্য?
---সময় হলেই টের পাবে!তারাকে আমি চিনি ও কি করতে পারে তাও আমার খুব ভালো করে জানা আছে।আচ্ছা আমি ওদের কাছে যাই।
ইলফা চলে গেলো সোয়া ঠিক বুঝতে পারছে না ইলফা কিসের পস্তানোর কথা বললো। আর আদির কোন ক্ষতি করবে নাকি, না না কি ভাবছে এটা ওর নিজের যাই হোক আদির এই পরিবারের লোকগুলোর যেনো কখনো কিছুই না হয়।
তারা ইলফাকে বললো____
---কিরে তুই কোনো কাজের লোক নাকি যে নাস্তা তুই আনতে গেলি?বাড়িতে ওই কাজের মেয়েটা আছেনা ওকে দিয়েই তো আনাতে পারতি!
---শুন তারা, কাজ করলেই কেবল কাজের লোক হয় না। আবার ভালো লেগেছে তাই আমি এনেছি। আর ওকে দিয়ে আনাতে চাইনি কারনটা আদির খুব ভালো জানা আছে আর আমার ও হাত আছে আনার জন্য।
রাইজান বললো____
---দ্যাটস গ্রেট ইলফা! তুই আমার মনের কথা বলেছিস। কাজ করলেই কাজের লোক হয় না হয়তো একজন সম্মানিত ব্যক্তি।
অন্তর রাইজানকে বললো______
---বাব্বাহ তুই এতো অভদ্র হলি কবে রে রাইজান!
---অন্তর ব্রো তোমার ওটা অজানাই থাক।
.
কিছুক্ষণ পর রাইজান আর ইলফা এবং আদিরা তিনজনই সোয়াকে ধরে গান শুনাতে। অনেক বলার পর সোয়া একটা গান বলতে রাজি হয়!সোয়া বললো,,
---আচ্ছা, আমি বলবো! কিন্তু আমার গান শুনে কেউ হাসতে পারবেন না।
রাইজান সোয়ার কথার উওর দিলো____
--আমি কখনোই হাসবো না, এতো মিষ্টি কণ্ঠ যার তার গান শুনে কেনো হাসবো।
ইলফা রাইজানকে বললো,,,
---রাইজান তুই কি ওর কণ্ঠ টেস্ট করেছিস যে বলে ফেললি মিষ্টি।
ইলফা কথাটা রাইজানের মাথায় গিট্টু দিয়ে বললো।আদিরা বললো,,,,
----আমার ভাবির কণ্ঠ মিষ্টি এটা সঠিক রাইজান ভাইয়া। ওইতো বাবা, বাবা তুমিও বসো ভাবির গান শুনবে!
---আচ্ছা বসি! আমার মেয়েটার গানও শুনি!
---হুম, ভাবি, ১......২......৩.......স্টাট.........
সোয়া গান বলতে লাগলো_______
"মম জিবনও যৌবনও, মম আঁখিলো ভবনও, তুমি ভরিবে গৌরবে।
নিশি দিনের সময়, "তুমি রবে নিরবে হ্নদয়ে মম, তুমি রবে নিরবে নিবিড় ও নিভিত পূর্নিমায়...............
নিশি দিনের সময়, "তুমি রবে নিরবে হ্নদয়ে মম "তুমি রবে নিরবে .......................
আদির কানে গানের আওয়াজ এসে উপস্থিত হলো এতো সুন্দর কণ্ঠে কে গান গাইছে খুঁজতে লাগলো। রাহুল আর অন্তর ও গানের আওয়াজ শুনে নিচে এসে দেখে সবাই একসাথে বসে সোয়ার গান শুনছে তাই তারাও যোগ দিলো গানের আসরে।রাইজান আমার ক্রাশ খেলো সেই মায়াবি চেহারার তে তো খেলো এবার সোয়ার কণ্ঠের উপর খেলো। রাইজান হা করে তাকিয়ে আছে। সবাই দেখলে কি ভাববে তাই স্পর্শ গিয়ে মুখ বন্ধ করে দিলো হাত দিয়ে।
আবার শুরু করলো সোয়া _______
♬♬জাগিবে কাগি, তব করুন ও আখিঁ। তব অন্ঞ্চল ও ছায়ায়, মোরে এএ রহিবে ঠাকি ........(২)
মম দুঃখ বেদন ও মম সপল ও সভন ও, তুমি ভরিবে সৌরভে, নিশি দিনে এসময়।
"তুমি রবে নিরবে হ্নদয়ে মম, তুমি রবে নিরবে নিবিড় ও নিভিত পূর্নিমায়।
নিশি দিনে এসময় "তুমি রবে নিরবে "
হুহুহহহহহ....................
আদি উপরে দাড়িয়ে দেখলো যে নিচে কেউ গালে হাত দিয়ে, কেউ কাধে মাথা রেখে, কেউ বালিশে ভর দিয়ে মনযোগ সহকারে গান শুনছে। তারপর দেখলো সোয়া চোখ বন্ধ করে গান গাইছে আর সবার আকর্ষণ তার দিকে বিশেষ করে রাইজানের এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে।আদি এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে কিছুটা বিরক্তিবোধ করলো, হালকা জেদও উঠেছিল।
সোয়া শেষ বললো,,,
♬♬তুমি রবে নিরবে...................♬♬
আদি সোয়ার দিকে তাকিয়ে আছে এতোটা সুন্দর, মিষ্টি কণ্ঠ সোয়ার সত্যি যে কেউ শুনলে পাগল হয়ে যাবে। একদম পাগল হয়ে যাওয়ার মতো কণ্ঠ। রাইজান তো পাগল হয়ে আছে আদি হয়তো তা জানেনা।
তারা ওয়াশরুমে ছিলো বলে দেখতে পায়নি যে আদি মনমুগ্ধকর দৃষ্টিতে সোয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। এবার তো আদির রাগ আরো বেড়ে গেলো রাইজানকে দেখে।