ভালোবাসার আলতো ছোঁয়া - পর্ব ১৭ | Valobasar Alto Chowa 17

আদি ওর দিকে তাকিয়ে দেখলো সেই রেস্টুরেন্টের মেয়েটিই যার নাম উষা ছিলো। উষা নামের মেয়েটি বললো,,,

----কি চাই?

----সোয়া বাসায় আছে।

----হুম কেনো কি দরকার বলুন?

 

----ওকে একটু ডেকে দিলে ভালো হতো কিছু কথা ছিলো।

----ওকে আপনি ভেতরে এসে বসুন।

----ঠিক আছে।

 

আদি ভেতরে গিয়ে বসলো আর উষা দৌড়ে উপরে গিয়ে সোয়াকে বললো,,,,

----সোয়া?

----হুম বল?

----তোর সাথে কেউ দেখা করতে এসেছে!

----কে সে?

----চিনিনা আজ প্রথম দেখলাম। তোকে চিনে কীভাবে আর ওনাকে কোন দিন দেখিনি তো।

 

----তুই যাকে চিনিস আমি ও তাকে চিনি এর বাড়তি আমরা কাউকে চিনিনা।আচ্ছা, তুই বস এখানে আমি দেখে আসছি।

----হুম।

 

আদি খুব আগ্রহে বসে আছে যে ও সোয়া হবে। আর আজ যদি ও সোয়া হয় তো আদি ওকে সাথে করে নিয়ে যাবে আর সবাইকে দেখিয়ে বলবে। তোমরা না সবাই আমাকে বলেছিলে যে সোয়া আর এই পৃথিবীতে নেই এখন দেখো এ কে। সবাই তখন অবাক হয়ে যাবে।

 

সোয়া সিড়ি দিয়ে নেমে আসছে আদি হাসি মুখে তার দিকে তাকাতেই মুখটা পুরো মলিন হয়ে গেছে।এ কে একি সোয়া? না তো এ সোয়া নয় কেও আদি তো ঠিক চিনতেই পারছে না। রেস্টুরেন্টে উষা নামের মেয়েটির সাথে যে সোয়া নামের মেয়েটি ছিলো ও বোধহয় ও। কেননা, তখন এই সোয়ার মুখ আদি দেখতে পায়নি সোয়া তাকে পিছন করে দাড়িয়ে ছিলো তাই।

 

-----আমাকে কেন খুঁজছিলেন?

সামনের সোফায় বসে সোয়া বললো। আদি বললো,,,

----আপনি সোয়া।

----ইয়েস বলুন?

 

আদির মন খারাপ হয়ে গেল তার চিন্তাভাবনা সব বিফলে গেল। কি ভাবলো এতক্ষণ সে মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকলো যেনো ও সোয়াই হয় কিন্তু এটা কি হলো। এতো তার সোয়া নয় অন্য কেউ স্পর্শ ঠিকই বলেছিলো সোয়া নামের পৃথিবীতে কি কেবল একটাই মেয়ে আছে নাকি আরো কতো হাজারো মেয়ের নাম সোয়া।

 

সৃষ্টিকর্তা ভিক্ষা সরূপ সোয়াকে আজ দান করলে তাকে এমন কি ক্ষতি হয়ে যেত।আদি তার ভালোবাসা পেতো উপরওয়ালা কি তাহলে আদির উপর নারাজ হয়ে গেছে।

 

সোয়া বললো,,,

---কি হলো বলুন কেন আমায় খুঁজছেন?

আদি ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে বললো,,,,

----এখানে সোয়া নামের আর অন্য কেউ নেই আপনি ব্যতীত?

---নাহ আমিই সোয়া এটা আমার বাড়ি।এখানে আমি সোয়া ছাড়া আর অন্য কেউ নেই দেটস ক্লিয়ার।

 

---ওহ! বোধহয় আমি ভুল ডিটেইলসে আসছি। আচ্ছা, আপনাকে একটা ছবি দেখাই যদি ওকে চিনেন তাহলে আমায় একটু বলবেন প্লিজ ওর খোঁজটা।

---ইয়াহ সিউর দেখান।

---হুহ!

 

আদি পকেট থেকে ফোনটা বের করে সোয়ার ছবি বের করলো। তারপর ওই সোয়া নামের মেয়েটিকে দেখালো। আদি বললো,,,,

----একে চিনেন আপনি?

 

সোয়া কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো ছবির দিকে তারপর তাকালো আদির দিকে। আদি আবার সোয়াকে বললো,,,

---কি হলো বলুন চিনেন ওকে? 

.

!!!

সোয়া কাশি দিতে থাকে! আদি বললো,,

---আপনার হঠাৎ কাশি উঠলো কেন? পানি খান।

সোয়া দৌড়ে গেল কিচেনে তারপর জগ থেকে পানি ডেলে গ্লাসে খেল। সোয়া নিজে নিজে বলছে,,,,

 

---কে এই লোক আর ওকে খুজছে কেন? এর মতলব কি ওকে চিনেই বা করে। আর ও সোয়া হলো কিভাবে কিছুই তো বুঝতে পারছি না আমি। ওনি ওর কি হয় কিভাবে চিনে এইসব জিজ্ঞেস করতে হবে। আর আমাকে কারন না জেনে ওর ডিটেইলস দেওয়া উচিত হবে না।

 

সোয়া কাউকে ফোন করে এবং কয়েকটা মিনিট কথা বলে তারপর আবার আদির কাছে যায়। সোফায় বসতেই আদি বললো,,,

 

--ঠিক আছেন আপনি? 

---হুম!

---আচ্ছা!

---মেয়েটা আপনার কি হয়?

 

---ও আমার ওয়াইফ হয়।

---হোয়াট ওয়াইফ!

সোয়া বিষম খেয়ে বলল। আদি বুঝে উঠতে পারলো না সোয়া হঠাৎ এমন করে বললো কেনো। তাই আদি বললো,,,,

----আপনি এতো রিয়েক্ট করছেন কেনো? আপনি কি ওকে চিনেন? আপনার পরিচিত ও?

 

---না না এমনি করলাম মেয়েটাকে দেখে তো বিবাহিত মনে হয় না তাই বললাম। আর ওকে চিনিনা আমি, চিনিনা যখন আমি পরিচিত হবে কিভাবে।

----ওহ আচ্ছা।

----আপনার ওয়াইফ কোথায় গেছে আর আপনি খুজছেন?

 

---আসলে বছর খানিক আগে ও আমায় ছেড়ে চলে আসে।

---কেনো? মানে আপনাদের মাঝে কোনো ঝামেলা হয়েছে?

---নাহ, জানিনা ও কেনো এসেছিল। কিন্তু প্রচন্ড ভালোবাসি ওকে জানেন তো।আপনাদের এখানের নামকরা ডক্টর উপমা না কি জেনো নাম ওনার হসপিটালে সামনে একটা দিন তাকে আমি দেখছিলাম। মন খুব সন্দেহ হয়েছিল ওকি সত্যি আমার সোয়া তাই কনপার্ম হতে আজ গিয়েছিলাম হসপিটালে আর রিসেপশনের মহিলাকে জিজ্ঞেস করলে ওনি আপনার ডিটেইলস দিয়ে দেয়।

 

---ওহ, এতো ভালোবাসেন আপনার ওয়াইফকে। আজকাল স্বামীর ভালোবাসা পাওয়াটা খুব কঠিন। আপনাদের বিয়ে এরেন্জ না লাভ?

----এরেন্জ ,একটা ঘটনাবহুল আমাদের বিয়েটা হয়েছিল।ওর সাথে থাকতে থাকতে ওর মিষ্টি সুরে গান শুনতে শুনতে কবে যে আমার মনে অদ্ভুত অদ্ভুত অনুভূতি তার জন্য জমেছে কখনো বুঝতেই পারিনি। বড্ড ভালোবাসি ওকে জানেন তো যেদিন ভাবলাম ওকে মনের সব কথা খুলে বলব সেদিন আমায় ছেড়ে ও চলে আসে। লোকের মুখে শুনেছিলাম ও নাকি আর এই পৃথিবীতে নেই।কিন্তু, আমার বিশ্বাস ও এখনো পৃথিবীতে আছে আমার আসেপাশেই আছে কোথাও কিন্তু আমি দেখতে পাই না আড়াল করে চলে আমায়।

 

--আচ্ছা, আজ যদি ও অন্য কারোর হয়ে যায় তাহলে আপনি কি করবেন?

--এটা আমি কখনোই মেনে নিবো না! ওকে আমার করে পেতে হলে যদি কাউকে খুন করতে হয় তাহলে সেটাও করতে আমি রাজি আছি। আমার সোয়া, আমার ভালোবাসা চিরদিন ও আমারই থাকবে।

 

---বেশ ভালো, ও যদি আপনাকে ভালো না বাসে তাহলে?

---সেটা না হয় তখন দেখা যাবে! ভালবাসা তো আর জোর করে হয়না যদি আমি ওর মনে যায়গা করে নিতে না পারি ভালোবাসতে না পারি তাহলে জোর করে তো আর আমি ওর থেকে এইসব পেতে পারবো না।জোর করে পেতে হলে শিকল দিয়ে বেধেঁ রাখলেও ওর মনতো অন্য কারোরই থাকবে কিন্তু আমার হবে না। না আমি যায়গা করতে পারবো, হয়তো আমার কাছেই রাখতে পারবো শুধু ওকে।

 

---হুহ,

---আচ্ছা, আপনাকে শুধু শুধু কষ্ট দিলাম আমি। আসি আল্লাহ হাফেজ!

---না না এখানে কিসের কষ্ট হলো, খোঁজ তো করতেই পারেন।আচ্ছা আবার আসবেন আল্লাহ হাফেজ!

আদির মুখে হাসি না আসা সত্ত্বেও কষ্ট করে আনা একটা হাসি দিয়ে বললো,,,,

----হুহ প্রয়োজনে আসবো।

 

আদি চলে যায় আর সোয়াও দৌড়ে দরজা অবধি যায় আর আদি তাৎখনিক চলে যায় গাড়িতে বসে।সোয়া দরজায় সাথে লেগে নিচে বসে যায় আর চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।

---এতোটা ভালোবাসে কেউ কাউকে? কখনো জানা ছিলো না আমার।

সোয়া উচ্চস্বরে কেঁদেই দিলো।

.

!!!

খোলা মেলা নিস্তব্ধ একটা যায়গায় এসে গাড়ি থামায় আদি।গাড়ি থেকে নেমে আদি দরজাটা লাগায় গাড়ির। মনটা খুব খারাপ তার বুকটা ফেটে কান্না আসছে তার। ভেতরটা জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে তার।কি বললো ওই সোয়া নামের মেয়েটা তাকে সত্যি যদি সোয়া তাকে ভালো না বাসে তাহলে। তাহলে কি করবে আদি নিজেকে কি শেষ করে দিবে আদি।নাহ কেনো শেষ করবে সে যদি নিজেকে শেষ করে দেয় তাহলে সোয়াকে বিপদের সময় কে বাচাবে।এই পর্যন্ত যতগুলো বিপদের সম্মুখীন হয়েছে সোয়া সবগুলোতে যে আদি তাকে বাঁচিয়েছে।

 

হাঁটু গেড়ে বসে আদি নিজের চুলগুলো দু হাতের মুঠোয় নিয়ে টানছে আর চোখের জল ফেলেই যাচ্ছে। অশ্রু যে তার বাধা মানছে না অনবরত পানির মতো দলবেঁধে যাচ্ছে। চিৎকার করে কাদতেঁ লাগলো আদি, কোনোদিন এভাবে কাদেনি আদি। নিস্তব্ধ যায়গায় শুনার মতো কেউ নেই কান্নার আওয়াজ।

 

রয়েছে এই বাতাস, আর গাছগুলো। তারা শুনার জন্য রয়েছে, তারা আদির কষ্টটা বোধহয় উপলব্ধি করতে পারছে।কিছু মাসে এতোটা ভালোবেসে ফেলা যায় কাউকে। কতোটা কষ্ট পাচ্ছে আদি, কতোটা যন্ত্রণা! ভেতরে হয়তো সে সোয়াকে না পেয়ে মরেই আছে দেখতে বাইরে থেকে তাকে জীবন্ত মনে হচ্ছে।

 

ভালোবাসা নামক জিনিসটাই আসলে খুব খারাপ একটা বার কাউকে ভালোবাসলে তার উপর থেকে যে মন উঠে যায়না। সবাইকে দেখায় হয়তো সে আর ওকে ভালোবাসেনা মনে রাখেনা কিন্তু আসলে ঠিকই ও মনের গহীনে রয়ে আছে। মনের মাঝে তার নামটি লিখা।

 

আদি গাড়ির সামনে উঠে বসলো দূরের ওই আকাশ পানে তাকিয়ে আছে।সেদিন যদি আদি সোয়াকে টান দিয়ে রাস্তার পাশে না আনতো তাহলে কি হতো।

 

হ্যাঁ, ওইদিন সোয়া বাজার থেকে আসার সময় যে গাড়িটা তাকে একসিডেন্ট করবে বলে এসেছিল কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। অফিসে আদি ছিলো মনে অনেকটা ভয় করছে তার। মনে হচ্ছে কারো কিছু হতে চলছে তাও খুব খারাপ কিছু তাই বাসায় এসে সাফিয়াকে সোয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে সাফিয়া বলে ও বাজারে গেছে।

 

ভাগ্যিস আদি বাজারে ওর খোজে গিয়েছিল বলে।আদি গাড়ি চালিয়ে আসছে সামনে দেখলো সোয়া বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে আসছে।আর পিছনে থেকে একটা গাড়ি তাড়া করে বেড়াচ্ছে। গাড়ি সাইড করে রেখে আদি ওপারে যায়। আর গাড়িটা চাপা দেওয়ার সাথে সাথেই সোয়াও চিৎকার দিয়ে উঠে আর আদিও টান দিয়ে নিজের বুকের উপর এনে ফেলে।

 

সোয়া ভয় পেয়ে তখন জ্ঞান হারায়। সোয়াকে নিজের বুকে চেপে ধরে গাড়ির লোকদের কথা শুনাতে থাকে পিছন থেকে আর গাড়িটা তো তখন প্রায় অনেক দূর চলে যায়।আদি সোয়ার দিকে তাকালো,,,

----এই যে শুনছেন? শুনতে পাচ্ছেন আপনি?

 

আদি সাড়া শব্দ না পেয়ে কোলে তুলে গাড়িতে নিয়ে বসায় সোয়াকে।বসানোর সময় আদি যখন সিট বেল্টটা লাগাতে যায় তখন সোয়ার মুখের কাছাকাছি ওর মুখটা ছিলো। কাছ থেকে সোয়াকে দেখছে আদি আজ প্রথম। আদি দেখতে দেখতে সোয়াকে মনে পড়ে যায় তারার কথা তাই উঠতে নিলেই দেখে যে সোয়ার চুলের সাথে তার শার্টের বাটন লেগে প্যাঁচ হয়ে আছে। অনেকক্ষণ টাইম নিয়ে প্যাঁচ খোলে। তারপর গাড়িতে উঠে স্টাট দিয়ে গাড়ি চালায় আর বাসায় পৌঁছে কোলে তুলে বাসায় ডুকে। আদিরার রুমে নিয়ে শুইয়ে দেয়।

 

পাশে বসে আদি কিছুক্ষণ ডাকে কিন্তু সাড়া পায় না। তাই বসে থাকে আবার তারপর সাফিয়াকে সোয়ার কাছে দিয়ে আদি ফ্রেশ হতে চলে যায়। দুপুর ঘনিয়ে এলো লান্স কেউ করেনি এখনো আদি সোয়ার কাছে যায় এবং গিয়ে দেখে ও হালকা টিমটিম করে চোখ নারছে।

 

---এই যে শুনছেন? শুনতে পাচ্ছেন আমার কথা?

সোয়া চোখ একটা সময় খোলে তারপর দেখে সামনে আদি এসে বসা। এরপর মাথায় হাত দিয়ে সোয়া উঠে বসার চেষ্টা করে। আদি সাথে হেল্প করে।

 

সোয়া নিচে নামতে চাইলে আদি ধরে নিচে ড্রয়িংরুমে এনে বসায়।

---এখন ঠিক আছেন আপনি?

---হ্যাঁ ঠিক আছি।

আদির ভেতর এখন প্রচন্ড রাগ জমে আছে সোয়ার উপর। আদি বললো রাগী কণ্ঠে,,,

 

---বাজারে আপনাকে কে বলল যেতে?

দাতে দাত চেপে বললো আদি। সোয়া ভয়ে ভয়ে বললো,,

----বাজার ছিলনা বাসায় তাই গিয়েছিলাম আমি।

---বাসায় বাজার ছিলোনা তাই আপনাকেই যেতে হলো। আর কেউ কি নেই নাকি বাসায় সব কি মরে গেছে।

 

আদি রাগের চোটে জোরে চেচিয়ে বলতে লাগলো কথাগুলো আর সোয়া ভয়ে মাথা নিচু করে আছে। আদির চোখের দিকে তো তাকানোই যাচ্ছেনা। রাগে লাল হয়ে আছে আদির চোখগুলো।আদি আবার বলা শুরু করলো,,,,

 

----আপনি কি এই বাড়ির বাজার করার জন্য রয়েছেন।আজ যদি আপনার কিছু হয়ে যেত তাহলে মা -বাবা আদিরার কাছে কি জবাব দিতাম আমি। আমার উপরই তো এখন আপনার সব দায়িত্ব। আজ রাস্তায় কি হতো আমি না থাকলে হসপিটালে থাকতে হতো আপনার। বাসায় কাজের লোকগুলো কি সব মরছে?

 

একজন বললো,,

---জ্বি সাব?

---বেতন দিয়ে আপনাদের রেখেছি কেনো বাড়িতে? সামান্য বাজার টুকু করতে পারেননা।

----সাব বৌমনিকে আমরা ...

----চুপ একদম চুপ কোনো অজুহাত শুনতে চাচ্ছিনা আপনাদের কাছ থেকে যান এখন এখান থেকে।

 

সোয়াকে আরো কিছুক্ষণ বকাঝকা করার পর আদি উপরে চলে যায়। আর সোয়া কাদতেঁ থাকে এতো বকা ও ওর জন্মেও শুনেনি যতোটা আজ আদি ওকে বকেছে। আদিও কি করবে রাগের বসে কথা শুনিয়ে গেলো।

 

রাত ঘনিয়ে এলো কেউ কিছুই খায়নি।সোয়া সেই দুপুরে কাদতেঁ কাদতেঁ রুমে গিয়ে ডুকলো আর বের হয়নি।একজন কাজেরলোকও ভয়ে দুজনের একজনের সাথে ও দেখা করতে যায়নি। আদি রাতে নিচে নেমে এসে দেখে সোয়া নেই তাই রহিমাকে জিজ্ঞেস করলে বলে,,,,

 

---সোয়া কোথায়?

---বৌমনি সেই দুপুরে কাদতেঁ কাদতেঁ রুমে ডুকেছে আর বের হয়নি!

---হোয়াট! আচ্ছা আপনি যান।

আদির রাগ এখন নেই বললেই চলে। অনেকটা হালকা! দুপুর থেকে মেয়েটা কিছু খায়নি কতোটা খুদা লাগছে তার এর উপর আবার কাঁদছে। আদি আদিরার রুমের কাছে গেল গিয়ে নক করলো দরজায়।

ভালোবাসার আলতো ছোঁয়া

হাফিজ মাহমুদ

পর্ব : ১৭

Previous Post Next Post