-এখনি তো পড়তেন আপনি আমি না ধরলে!
সোয়া চোখ মেলে আদির দিকে তাকিয়ে বললো__
-ওহ, তাহলে আমি পড়ে যাইনি বেচেঁ গেছি।
-হ্যাঁ বেচেঁ গেছেন। আর আজ পড়লে সিড়ি দিয়ে নির্ঘাত হাত -পা ভাঙ্গতো।
সোয়া আদির থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিচে তাকালো।ভয়ে শেষ যদি আজ নিচে পড়ে যেত তাহলে।
-আজ আপনি ছিলেন বলে আমি বেচেঁ গেছি নাহলে নিশ্চয়ই আকাশে থাকতাম।
-হুহ, চলেন।
-ওকে ধন্যবাদ বাঁচানোর জন্য।
-ওয়েলকাম। আচ্ছা, আপনি এখন যে পড়তে গেলেন কেন গেলেন? শাড়ি পড়ার জন্য। শাড়িতে পা পেছিয়েই তো আপনি এখন পড়তে গেলেন। কে বলে আপনাকে শাড়ি পড়তে,গ্রাউন পড়তে পারেন না তাহলে তো হয় আর পা পেঁচোয় না।
-আমার শাড়ি পড়তে খুব ভালো লাগে আর খুব পছন্দ ও করি তাই পড়ি।
-আজকেই না নাহলে আমি বাচঁলাম, নেক্সট টাইম কে বাচাবে আপনাকে?
সোয়া আদির কথা শুনে থমকে গেল।আদি আগের তুলনায় অনেকটা চেন্জ হয়ে গেছে। সোয়ার সাথে অনেক ভালো ভাবে কথা ও বলছে।আগে তো আদি সোয়াকে সহ্যই করতে পারতো না।আজকাল আদির সোয়ার প্রতি খুব মায়া হয়।সোয়ার সেই মিষ্টি কণ্ঠ তাকে মাতাল করেছে।
আদি কি বললো এটা "আজকে ও বাচিঁয়েছে পরে কে বাঁচাবে "আসলেও কে বাঁচাবে পরে সোয়াকে।আদি আজ কয়দিন সোয়ার সাথে যা ভালো ব্যবহার করছে তার সাথে কথা বলছে সোয়ার তো আদিকে এভাবে আস্তে আস্তে ভালো লেগে যাবে। তখন আদিকে সোয়ার ছেড়ে যেতে মন চাইবে না।
যাই হোক সোয়াকে তো চলে যেতেই হবে,আর কয়টা মাস তারপর চলে যাবে।বলতে বলতে কতটা দিন চলে গেল।আবার বলতে বলতে ছয়টা মাসও কেটে যাবে। সোয়াও আদির জিবন থেকে চলে যাবে। কোথায় থাকবে আদি আর কোথায় সোয়া। আদির তখন হয়তো সোয়ার কথা মনেই থাকবে না।তারা আর সংসার জগৎ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।
রোজ আদি অফিস থেকে আসলে সোয়ার যায়গায় তারা আদিকে কপি বানিয়ে দিয়ে আসবে।রাতে বারান্দায় গল্প করবে মন খারাপের সময়।এভাবেই কেটে যাবে আদির দিন আর আদির মনেই থাকবে না সোয়া নামের কোনো একটা মেয়ে তার জিবনে ছয়মাসের জন্য এসেছিল।
আদি সোয়াকে ডাক দিয়ে বললো___
- হ্যালো কোথায় হারালেন?
সোয়া চিন্তা জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে বিষম খেয়ে বললো___
-ক..ক...কই কোথায় হারালাম আমি। আমার নিচে কিছু কাজ ছিলো সেটা মনে হয়েছিল।আর আমাকে সামলানোর জন্য বাঁচানোর জন্য কাউকে প্রয়োজন নেই আমার জিবনে।নিজেই পারি নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখতে।
-গুড, তাইতো এখন পড়তে গেলেন।
-আচ্ছা, আমি আসি কিছু কাজ আছে আমাকে যেতে হবে।
-এখন এতো রাতে আবার কিসের কাজ আপনার। সব কাজ বাদ চলুন আমার সাথে কোনো কথা শুনতে চাচ্ছি না।
বলেই আদি চলে গেলো উপরে।আর সোয়া কিছু ভেবে না পেয়ে সেও আদির পিছনে পিছনে উপরে চলে গেল।
.
ছাদের এক প্রান্তে দুজন দাড়ালো।সোয়া বললো___
-আজকের আকাশটা কেমন মেঘলা হয়ে আছে বৃষ্টি নামতে পারে।
-হুম,পশ্চিম দিকে কালো হয়ে আছে মেঘগুলো।
-উফ এখন যদি বৃষ্টিটা নামতো না তাহলে বেশ মজা হতো।
-আচ্ছা, তাই আপনি বৃষ্টিতে ভিজতেন তাহলে?
-হুম, যতক্ষণ বৃষ্টি হতো আমি ততক্ষণ ভিজতাম এখানে দাড়িয়ে।
-হ্যাঁ, আপনি ভিজতেন আর কাল সকালে গিয়ে দেখতাম জ্বরের আবাশে আবোল তাবোল বকছেন।
-নাহ বৃষ্টিতে ভিজলে আমার কোনো জ্বর আসেনা।
-তাহলে তো ভালোই হলো ভিজতে কোনো অসুবিধা নেই।
সোয়া আকাশ পানে তাকিয়ে আছে হাতের উপর হাত ভাজ করে দাড়িয়ে।আদি দু পকেটে দুটো হাত রেখে দাড়িয়ে আছে সোয়ার পাশে আর সামনে তাকিয়ে।
আকাশটায় আস্তে আস্তে মেঘ জমছে,সাদা মেঘ গুলো ডাকা পরেছে কালো মেঘগুলোর কারনে।
শিতল বাতাস বইছে সোয়ার সেই সুভাসিনী চুলগুলো উড়ছে।কয়েকটা চুল এসে আদির মুখের উপর পড়ছে আবার বাতাস এলে চলে যাচ্ছে। এভাবে কিছু চুল আদির মুখের উপর এসে খেলা করছে। বাতাস এলে আবার চলে যাচ্ছে।
আকাশের আজ মেঘলা না হলে হতোনা,জোৎস্না ছড়িয়ে দিতো আকাশে। দুজনের মুখে এসে পড়তো জোৎস্নার আলো।
জোৎস্নার আলোয় পুরো মাখামাখি হতো দুজন। জোৎস্নার আলো ওদের না ছাড়িয়ে একা না করে সঙ্গী করে দিতো।ভালোবাসার সৃষ্টি করে দিতো দুটো মনে।
ওই কালো মেঘগুলো দৌড়াদৌড়ি করছে, আস্তে থেকে জোরে বাতাস বইছে। অল্পক্ষণ পরে বৃষ্টি এলো বলে।
-শীত করছে না আপনার?
-নাহ একটু কিন্তু বেশ ভালো লাগছে এমন দৃশ্য গুলো দেখুন ওই মেঘটা ওই মেঘটার সাথে কি সুন্দর জমাট বেধেঁ গেছে।যেনো তারা সঙ্গী একে অপরকে অনেকদিন পর পেয়েছে।
-হুম,অনেক ভালোবাসে দুজন দুজনাকে দেখতেই বুঝা যায় আর মনে হয় অনেক দিন পর দেখা। এতোটাই যখন ভালোবাসে তাহলে দূরে ছিলো কেন?
-হয়তো কোনো ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তাদের মাঝে, নয়তো পরিবারের কোনো সমস্যার কারনে তাদের দূরে চলে যেত হয়েছিল। আজ তারা খুব খুশি হবে, দুজন দুজনকে পাশে পেয়ে।
-হুম!
সোয়া বললো,,
"তুমি বিহীন আমি ছিলাম একা,
মনে পড়তো তখন তোমার প্রতিটা রেখা।
অনুভূতি জমে ছিলো বড্ড বেশি,
তাই নিজেকে সামলানোটা খুব কঠিন।
আজ পেয়েছি নিজের খুব কাছে,
ছাড়বো না এই হাত,
রেখেছি নিজের হাতে খুব যতনে।
ছেড়ে চলে যেতে চাইলে,
পারবে না যেতে।
ভালোবেসেছিলে যে এই আমাকে।"
#লেখা_রিমি
-ওদের সাথে অনেক মিলে গেলো।
-মিলতে তো হবেই ওদের নিয়েই তো বলেছিলাম।
-ওহ আচ্ছা তাই বলুন।আপনাকে একটা কথা বলি?
-হ্যাঁ বলুন?
সোয়া আকাশ পানেই তাকিয়ে ছিলো আদির দিকে সে একটুও তাকায়নি। যতোগুলো কথা বলেছে সবগুলো যে আকাশের দিকে তাকিয়েই বলেছিলো।
-কথা হলো গিয়ে আমি কাউকে আপনি করে বলতে পারিনা।কেমন অসহ্য লাগে,যদিও বা লোকে বলে অপরিচিত জনকে আপনি করে বলুন।আর আজ ১৫-২০টা দিনই তো আমি আপনাকে চিনি কোনো অপরিচিতা ব্যক্তি নন।
তাই বলছি আপনাকে তুমি করে বলা যাবে?
কথাটা আদি ভয়ে ভয়ে বলেছিল কেননা যদি সোয়া অসস্তি বোধ করে। যদি তার ভালো না লাগে তাই।আদি সোয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো সোয়াও আদির কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে আছে। খুব ভয় পাচ্ছে আদি হঠাৎ যদি সোয়া কিছু মনে করে বা বলে।
-আচ্ছা, আমি আপনি করে বলবো আপনি আমায় তুমি করে বলবোনা সমস্যা নেই।
বলেই অভিমান করে সামনে তাকিয়ে রইলো আদি।
সোয়া মুছকি একটা হাসি দিয়ে বললো,,
-সেটা আপনার ব্যাপার তুমি, আপনি, তুই যা খুশি বলতে পারেন। আপনার দু থেকে তিনবছরের ছোট হয়তো আমি বলতেই পারেন তুই করে সমস্যা নেই।
-তোমার বয়স কতো না মানে আপনার?
-হা.হা.হা তুমি আবার আপনি, আমার বয়স ২৬।
-আপনার ধারনাই ঠিক আমার থেকে তিন বছরের বড়।অফ আবার আপনি করে বললাম।
-মানে ২৯আপনার!
-হুহ।
ওরা কথা বলতে বলতে আচমকা আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠলো।সোয়া ভয় পেয়ে পাশে আদিকে পেয়ে জরিয়ে ধরলো।
সোয়া আদিকে আস্টে পিস্টে জরিয়ে আছে কিন্তু আদি ওভাবে জরিয়ে ধরার সাহস পায়নি।
যখন সোয়া টের ফেল তখন আদিকে ছেড়ে লজ্জায় মুখ নিচু করে পেললো তাকানোর সাহস হয়নি লজ্জায়। কিভাবে জরিয়েছিলো, কেউ এভাবে জরিয়ে ধরে কাউকে।
-সরি, আমি বুঝতে পারিনি।
-ইটস ওকে, ভয় পেয়েছিলে তো তাই আমি বুঝেছি।
.
আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়লো বলে তখনই আদি বললো,,,
-তাড়াতাড়ি চলো বৃষ্টি আসছে তো!
-আপনি যান আমি যাবো না।অফ কতোদিন পর আজ আবার ভিজবো বাসায় তো পাপার কারনে একটু ভিজতেও পারিনা।
আদি পাপা শব্দটি শুনেনি কেননা তখন সে দৌড়ে দরজার কাছে চলে গেছে। আর সোয়া দু হাত চার পাশে মেলে ঘুরে ঘুরে ভিজতে লাগলো বৃষ্টিতে।
সোয়া বৃষ্টির পানি নিয়ে খেলতে লাগলো আর আদি দরজার পাশে দাড়িয়ে দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দেখতে লাগলো।আজ সোয়া বড্ড খুশি কতোটা দিন পর বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়েছে হিসেব নেই।বৃষ্টির ফোটা গুলো এসে একে তার গায়ে পড়ছে আর সেই থেকে কিছুটা পানি সোয়া হাতে নিয়ে উপরে দিকে ছুড়ছে৷
আদি কোনো বাধাই দিবে না সে শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখবে।সোয়াকে আজ খুব সুন্দর লাগছে কেননা বৃষ্টি তাকে স্পর্শ করেছে।
সোয়া নিজে বৃষ্টির সাথে খেলতে খেলতে একটা সময় গান বলে ফেললো,,,
জুম রে রে রা রা রি রে .............(২)
তুমি আমায় ডেকেছিলে কোনো মেঘের ডাকা বুলি, কেন আমি দেইনি সাড়া।। আমার চোখে আকাশ দেখে তুমি বলেছিলে কিছু, বুঝিনি কেন সেই ইশারা।।এখন আমি অন্য আমি হয়ে ছুটে চলি তোমারি শহরে হারিয়ে চোখের যতক্ষণ.....................
জুম উড়ে দূরে দূরে....................
জুম মেঘে মেঘে ডানা মেলে ................
জুম উড়ে ঘুরে তারে ডাকি ..........
জুম উড়ে খুরে খুরে .............
জুম মেঘে মেঘে ডানা মেলে ...................
জুম উড়ে খুরে তারেই খুজি.........
আলো আধারের এই মায়া, এই অবেলায় মন যে হারায়।চেনা অচেনা কতো পথ, হঠাৎ করে থমকে দাড়ায়।
জুম উড়ে উড়ে দূরে দূরে ..............
জুম মেঘে মেঘে ডানা মেলে..................
জুম ঘুরে ঘুরে তারেই খুজি............
জুম উড়ে খুরে খুরে ...............
জুম মেঘে মেঘে ডানা মেলে ..............
জুম উড়ে ঘুরে তারে ডাকি .............
তোমার আমার ফেলে আসা যত রঙিন রঙিন স্মৃতি, লুকিয়ে অবুঝ ঠিকানা। অচিন কোনের অচিন পথে আজও বন্দী আমি, ভুল সে পথের সিমানা। এখন আমি অন্য আমি হয়ে ছুটে চলি তোমারি শহরে, হারিয়ে চোখের যতক্ষণ ..........
জুম উড়ে উড়ে দূরে দূরে .............
জুম মেঘে মেঘে ডানা মেলে...........
জুম ঘুরে ঘুরে তারেই খুজি ........
জুম উড়ে খুরে খুরে ..........
জুম মেঘে মেঘে ডানা মেলে..........
জুম উড়ে ঘুরে তারেই ডাকি।
-যাহ বৃষ্টি থেমে দেত ভাল্লাগেনা। যাহ ভাবছিলাম কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজবো তাও চলে গেল।
আদি ডেকে বললো,,,
-এই যে "বৃষ্টি বিলাশী "মন খারাপ করার কিছুই নেই।আবার আরেকদিন বৃষ্টি হলে আসবে এখন চলো।
-হ্যাঁ চলুন।
সোয়া মন খারাপ করে নিচে চলল। আদি ঢের বুঝতে পেরেছে বৃষ্টি চলে যাওয়ার কারনে সোয়ার খুব মন খারাপ।আদি বললো,,,,
-গিয়ে কাপড় চেন্জ করে নিবে নিচে!
-হ্যাঁ কেনো?
-কেনো মানে ভিজে আছে কাপড়, খেয়াল করেছেন কাপড়টা কতোটা পাতলা।
সোয়ার এতক্ষণ খেয়াল ছিলোনা ভিজা কাপড়ে তার সাদা ধবধবে পেটটা দেখা যাচ্ছে। কাপড় ভিজে গায়ের সাথে লেগে আছে।
আদির কথা শুনে তাড়াতাড়ি গা জরালো।
পরেরদিন সকালে আদি সোয়া বসে নাস্তা করছে।এমন সময় কলিংবেল বাজলো।সোয়া উঠে যেতে নিলে আদি বলে___
-তোমার উঠতে হবে না বসো, সাফিয়াকে বললে খুলবে দরজা।আমি কাল রাতে বলছিলাম বৃষ্টিতে না ভিজতে জ্বর আসতে পারে।
-তো এখন কি আমার জ্বর আসছে।
-জ্বর আসেনি তো কি হয়েছে সর্দি আর কাশি তো লেগেছে। কিছুক্ষণ পর জ্বরও আসতে পারে।
সাফিয়া এই সাফিয়া ...............
-হ্যাঁ বলুন?
-দেখো কে আসছে!
-হুম ঠিক আছে।
সাফিয়া দরজা খুলতে তারা ঝটপট ডুকে পড়লো ট্রলি নিয়ে বাড়ির ভেতর।আদিকে সোয়ার পাশে দেখে বললো____
-আদি ওয়াট ইজ দিস?
-কেনো কি হয়েছে?
-তুমি ওই মেয়েটার সাথে বসে নাস্তা করছো।
তারা খুব রেগে কথাগুলো বলছে।
-সো, ওয়াট। আর তুমি ট্রলি নিয়ে এখানে?
-আমি আজ থেকে ৪দিন এখানে থাকবো।
-ওকে, বাট আঙ্কেল আন্টি কিছু জানে এই সম্পর্কে?
-ইয়াপ!
-ওহ।
তারা এসে আদির পাশের চেয়ারে বসে বললো__
-এই মেয়ে যাও আমার জন্য ঠান্ডা পানি নিয়ে আসো!
সোয়া বললো।
-জ্বি, আনছি!
সোয়া পানি আনতে গেলে আদি না যেতে বলবে তা বলেও পারছে না। তারা বললো,,,,
-অফ, কতোটা জার্নি করে এলাম আমি কতোটা টায়ার্ড।
-তোমার বাসা থেকে এখানে আসতে ১০মিনিট লাগে এখানে টায়ার্ড হওয়ার কি আছে।
-তো কি হয়েছে গরমে আমার দেখো মুখ পুরো ঘেমে আছে। এই মেয়ে আনতে এতক্ষণ লাগে?
- আমি তোমার মুখে একটু ঘাম ও খুজেঁ পাচ্ছিনা। কোথায় ঘাম আর গাড়িতে এসি আছে।
-উফ এতো কুয়েশচেনস করছো কেনো?
সোয়া বললো,,,
-আপনার ঠান্ডা পানি।
-রাখো এন্ড আমি সকালে ব্রেকফাস্ট করিনি আমার জন্য ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসো।
-ঠিক আছে।
-শুনো সেন্ডুয়েজ, এগ অমলেট,পাস্তা এইসব এখনি বানিয়ে আনবে।
-ঠিক আছে।
-কি ঠিক আছে ঠিক আছে। পারো এইসব বানাতে, শিখেছো? নাকি পাড়োনা তোমাদের চাকরদের কাজ এইসব সো পাড়ার কথা। যাও.........
আদি বললো,,,
-তারা ও অসুস্থ ছেড়ে দাও না, বাড়ির কাজের লোকদের বললে ওরা করে দিবে।
-কিহ, অসুস্থ জাস্ট হাস্যকর। ওদের অসুস্থতা আছে নাকি, আর তোমার ওর জন্য এতো মায়া হচ্ছে কেন? এই মেয়ে দাড়িয়ে থাকতে বলিনি যাও বলছি ১০মিনিটে করে নিয়ে এসো।